কোস্টাল শিপিং চুক্তির খসড়া নিয়ে ঢাকা-কলম্বো মতবিরোধ

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

 

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পরেও  কোস্টাল শিপিং চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি।

মঙ্গলবার সকালে এ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের নৌ সচিব অশোক রায় এবং শ্রীলঙ্কার  পক্ষে নেতৃত্ব দেন তাদের নৌ সচিব এল পি জায়ামপাথি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ভেসেল’ বা জাহাজের সংজ্ঞা নিয়ে এবং তৃতীয় কোনও দেশ থেকে শ্রীলঙ্কান পোর্ট ব্যবহারকারীরা ব্যবসা করতে পারবে কিনা সেটি নিয়ে দুদেশের মধ্যে মতবিরোধ আছে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, গত এক বছর আগে তারা যেসব বিষয় মেনে নিয়েছিল এখন সেখান থেকে শ্রীলঙ্কা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে এবং এ বিষয়টি বাংলাদেশ পক্ষকে অবাক করেছে।

তিনি বলেন, ভেসেল বা জাহাজের যে স্ট্যান্ডার্ড সংজ্ঞা, যেটি আগে মেনে নিয়েছিল সেটি তারা এখন মানতে রাজি নয়।

বৈঠকে খসড়াটি নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করার বিষয়ে তারা একমত পোষণ করলেও পরে  তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের ভবিষ্যত বাংলাদেশ সফরের সময়ে  এ চুক্তিটি স্বাক্ষর করা কিছুটা হলেও অনিশ্চিত হয়ে পড়লো।

শিপিংব্যবসায়সম্মতি

বৈঠকে দুদেশের মধ্যে শিপিং ব্যবসায় সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারকের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং সিলন শিপিং করপোরেশনের   মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে এবং এটিও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের সময়ে স্বাক্ষরিত হবে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রাম ও কলম্বো বন্দরের মধ্যে ফিডার জাহাজ চলাচলের গুরুত্বের বিষয়ে দুদেশ একমত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে মংলা এবং পায়রার সঙ্গে  শ্রীলঙ্কার ত্রিনকোমালি, হাম্বানতোতা এবং জাফনা বন্দরের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়টিও আলোচনার মাধ্যমে একমত হয়েছে।

বাংলাদেশ বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৭০ বিলিয়ন ডলারের বেশি এবং এর সিংহভাগ সিঙ্গাপুর বন্দরের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

ঢাকা সিঙ্গাপুর ছাড়াও আরেকটি বন্দরের বিষয়ে আগ্রহী, যেখান থেকে কম সময়ে এবং কম খরচে বাংলাদেশ পণ্য বাণিজ্য করতে পারে এবং সেজন্য সরকার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আলোচনা করছে।

এপিএইচ/

/এমও/