বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খাদিজার বাবা মাশুক মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকালে আমি আর আমার স্ত্রী হাসপাতালের কেবিনে ছিলাম। আমার স্ত্রী সিলেট চলে গেছেন। এখন আমি আর আমার বোন খাদিজার সঙ্গে আছি। সকালে কেবিনে এসে তাকে পুডিং, আপেলের জুস, ডিম খাইয়েছিলাম। তখন সে স্বাভাবিক ছিল।’
তিনি আরও জানান, তবে দুপুরে আবার খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করলেও সে মুখ খোলেনি। খাদিজা আগের চেয়ে বেশ স্বাভাবিক আচরণ করছে। বিছানা থেকে তাকে হুইলচেয়ারে বসানো হয়। অল্প কথা বলে। তবে মাঝে মাঝে কাউকেই চিনতে পারে না, অসংলগ্ন কথা বলে।
এদিকে, স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা বুধবার রাতেই সিদ্ধান্ত নেন খাদিজাকে কেবিনে স্থানান্তর করার। স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক এ এম রেজাউস সাত্তার সাংবাদিকদের জানান, পরিবারের সঙ্গ পেলে শারীরিক ও মানসিক উন্নতি দ্রুত ঘটবে। এখন সে কথা বলছে, পরিবারের সদস্যদের চিনতে পারছে। অবস্থার পরিবর্তন লক্ষ্য করতে আরও দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজের পুকুর পাড়ে সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে নৃশংসভাবে উপর্যুপরি আঘাত করে বদরুল আলম নামে ছাত্রলীগের এক নেতা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও অর্থনীতি বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র এই বদরুল। ঘটনার পর হামলাকারী বদরুলকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা করে জনতা। চাপাতির আঘাতে আহত খাদিজাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ৪ অক্টোবর ভোরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে আনা হয়। ওই দিনই নার্গিসের অস্ত্রোপচার করা হয়। সর্বশেষ গত সোমবার তার ‘মাসল চেইন’ কেটে যাওয়া ডান হাতে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা।
/সিএ/এমও/