‘বিশ্বব্যাংকের কাছে ঋণ নয়, অনুদান চায় সুশীল সমাজ’

হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)দেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংকের কাছে ঋণ নয়, তবে অনুদান দিলে সুশীল সমাজ তা গ্রহণ করবেন বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠির পক্ষে নাগরিক সমাজের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
সেমিনারে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে স্বেচ্ছায় দুইশ’ কোটি ডলার ঋণ দিতে চায়। কিন্তু বিশ্বব্যাংক এই টাকা যদি অনুদান হিসেবে দেয় তাহলেই কেবল নেবে সুশীল সমাজ। এতোদিন আমরা উন্নত দেশগুলোর কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণ চেয়ে এসেছি। কিন্তু এখন এই ক্ষতিপূরণ ঋণ হলে আমাদের আপত্তি আছে। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিবর্তন করা উচিৎ হবে না।’

সাবেক পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ব্যবসার ক্ষেত্রে তৈরি করছে। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক যে কোনও ব্যবসার প্রচেষ্টাকে রোধ করা উচিত।’

আসন্ন মারাকাশ সম্মেলন প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এবারের সম্মেলনে জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নে ব্যপারে বিধি তৈরি হবে। ওই বিধি তৈরির সময় আমাদের মাইগ্রেশন ইস্যুকে জোর দিতে হবে।’

আটটি অধিকার ভিত্তিক নাগরিক সংগঠন উক্ত সেমিনারটি আয়োজন করে। প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ গ্রিন হাউজ গ্যাসের উদগীরণ নিয়ন্ত্রণে ‘প্যারিস চুক্তি’ নামে একটি চুক্তি সাক্ষরিত করেছে। আগামী ৭-১৮ নভেম্বর মরক্কো এর মারাকাশে ২২তম কনফারেন্স অফ পার্টিজ (কপ ২২)  সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিতে যাচ্ছেন।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ইক্যুইটি বিডির সমন্বয়ক রেজাউল করিম চৌধুরী, সিএসআরএলের সমন্বয়কারী শারমিন্দ নিলর্মি, বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিষ্ট ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান, বাংলাদেশ উন্নয়ন ধারার নির্বাহী পরিচালক আমিনুর রসুল, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক জিয়াউল হক, বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী পরিচালক ড. নিলুফার বানু প্রমুখ।

/আরএআর/এনএস/