সাঁওতাল উচ্ছেদ: নেতৃত্বে ভূমি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা

 

 

প্রশাসনের সহায়তায় সাঁওতাল উচ্ছেদযুগে যুগে সাঁওতাল উচ্ছেদের নেপথ্যে ছিলেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। তাদের জমি বেদখলের ক্ষেত্রে  ভূমি কর্মকর্তা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। সম্প্রতি এক গবেষণায় এই তথ্য  তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বারকাত।

‘পলিটক্যিাল ইকোনমি অব আনপিপলিং অব ইন্ডিজিনাস পিপলস: দ্য কেইস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণায় ড. আবুল বারকাত উল্লেখ করেছেন, ‘ভূমি জরিপের নামেও সাঁওতালদের ভিটেমাটি ছাড়া করা হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি নতুন নয়। এটি অনেক পুরনো বিষয়। কেবল সাঁওতাল নয়, অন্যদের জমিও অধিগ্রহণ করা হয়েছে।  যদিও এখন বিষয়টা জটিল অবস্থায় আছে।’ তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে কয়েকদিন পরে বিস্তারিত বলা যাবে। এ ব্যাপারে ৭ ডিসেম্বর আবুল বারকাত আমাদের মন্ত্রণালয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেবেন। সেই পেজেন্টের পর এ নিয়ে কথা বলা যাবে।’

২৫৬ পৃষ্ঠার গবেষণায় আবুল বারকাত উল্লেখ করেছেন, ‘১৯৪৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত; এ সময়ের মধ্যে  সাঁওতালদের ৫ হাজার ১৯০ কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল হয়েছে। দেশের ভেতরে অস্তিত্ব সংকটের শিকার এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করতে বিভিন্ন সময়ে ১৬ ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আবুল বারকাত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘স্বাধীনতার আগে থেকেই সাঁওতালদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। স্বাধীনতার পরও তাদের ভিটেমাটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাদের এই উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভূমি কর্মকর্তা। আর নেপথ্যে কলকাঠি নেড়েছেন রাজনৈতিক নেতারা।’

/এমএনএইচ/