সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ভারতের নতুন প্রস্তাব

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকরবাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রচেষ্টার সামর্থ্য ও ক্ষমতা বৃদ্ধিতে নতুন কিছু উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর। তিনি ৩০ নভেম্বর দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসেন। সফরকালে তিনি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া বাংলাদেশ সেনা ও বিমান বাহিনীর প্রধান, কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, যৌথ মহড়া, এইচএডিআর কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি ও ব্লু ইকোনমির উদ্যোগ নেওয়ার বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।

ভারতীয় দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত স্বয়ম্ভরতা অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে ভারতের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান মনোহর পারিকর।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ব্যাপকভিত্তিক আলোচনায় দু’দেশের সশন্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান ঘনিষ্ঠ ও ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধন আরও জোরদার হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ভারতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্গ্রীব হয়ে আছেন।’

এ সময় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী একটি এলুয়েট হেলিকপ্টার এয়ারফ্রেম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেন। এই হেলিকপ্টারটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর সহায়তায় যে তিনটি আকাশযান নিয়ে ‘কিলো ফ্লাইট’ গঠিত হয়েছিল, তার অন্যতম। যা ১৯৭১ সালে ডিমাপুরে ব্যবহৃত হয়েছিল।

এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধকালে সদ্যগঠিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম ফাইটার হেলিকপ্টার। এটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি আইএল ৭৬ এয়ারক্রাফ্টযোগে দু’দিন আগে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবনে প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এই এয়ারফ্রেমটি দান করা হয়।

সফরকালে প্রতিরক্ষমন্ত্রী ঢকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা জানান। তিন বাহিনীর গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিও পরিদর্শন করেন।

এটি ভারতের কোনও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর। সম্প্রতি নিষ্পত্তিকৃত স্থল ও সমুদ্রসীমার পর অনুষ্ঠিত এ সফরে দুই দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর  মধ্যে বিনিময় বৃদ্ধি পায়। সফরটি প্রতরক্ষামন্ত্রীর কোনও প্রতিবেশী দেশেও প্রথম সফর।

/এসএসজেড/এমএনএইচ/