মত বিনিময় সভায় সংগঠনের মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে বারবার পাশ কাটিয়ে গেছে অর্থ বিভাগ। হাইকোর্টের রায় ও আপিলে হেরে লিভ টু আপিল দায়ের করে অর্থ বিভাগ। এখন লিভ টু আপিল মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন না অর্থসচিব। ইতোমধ্যে আদালতের কাছে ২৩ বার সময় নেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর লিভ টু আপিলের শুনানিতেও সময় চাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রায় বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে গত ১৮ জানুয়ারি পাঠানো এ সংক্রান্ত সার সংক্ষেপ অনুমোদন হচ্ছে না বলে আদালতের কাছে তথ্য উপস্থাপন করে সময় নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে সময়ক্ষেপণ করে ‘উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব বাজেটে নিয়োগ, নিয়মিতকরণ ও জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ আইন-২০১৬‘ খসড়ায় দায়মুক্তির বিধান যুক্ত আইনটি পাসের চেষ্ট করা হচ্ছে।
মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পের চাকরিকাল গণনা করে টাইম স্কেল-সিলেকশন গ্রেড নিশ্চিত করতে উচ্চ আদালতের রায় মানছে না অর্থ বিভাগ।’
মত-বিনিময় সভায় বলা হয়, ২০০৮ সালের ২৪ মার্চ ও ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দু’টি আদেশ জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। ওই আদেশে বলা হয়, উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত পদধারীদের প্রকল্পের চাকরিকাল গণনা করে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দেওয়ার অবকাশ নেই ।’ এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনটির মহাসচিব বলেন, ‘এই আদেশের বিরুদ্ধে কর্মচারীরা আদালতে গেলে আদালত অর্থ বিভাগের আদেশ দু’টি বে-আইনি ও অকার্যকর ঘোষণা করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের রায় বঞ্চিত কর্মচারীদের পক্ষে গেলে রিভউ আবেদন করে অর্থ বিভাগ। রিভিউ মামলায় হেরে লিভ টু আপিল দায়ের করে। এখন লিভ টু আপিলেও বারবার সময় নিচ্ছে অর্থ বিভাগ। কর্মচারীদের মধ্যে দিন দিন হতাশা ও ক্ষোভ বাড়ছে।’
/এসএমএ/এমএনএইচ/