এক সপ্তাহের মধ্যেই ১০ হাজার নার্সের পোস্টিং

‘হেলথ ওয়ার্কফোর্স স্ট্র্যাটেজি ডিসেমিনেশন’ গাইডলাইনের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমআমলাতান্ত্রিক জটিলতায় কারণে নার্সদের পদায়নে দেরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন,  ‘এতদিন চলেছে পুলিশ ভেরিফিকেশন। পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজ সম্পন্ন হতে সময় লাগে। নিয়োগপ্রাপ্ত দশ হাজার নার্সের প্রত্যেকের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য নিতে গেলে ১৫ বছরও লেগে যেতে পারে। অথচ স্বাস্থ্য খাতে নার্সের সংকট চলছে। এর আগে ২০০ চিকিৎসককে  নিয়োগ দিতে সময় লেগেছিল প্রায় ২ বছর। সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে দশ হাজার নার্সের পোস্টিং হবে।’ রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘হেলথ ওয়ার্কফোর্স স্ট্র্যাটেজি ডিসেমিনেশন ’ গাইডলাইনের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

পাইলট প্রকল্প হিসেবে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য খাতে জনবল নিয়োগের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী  বলেন, ‘জনবল নিয়োগে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রয়েছে। নতুন জনবল নিয়োগ ও অবকাঠামো সম্প্রসারণে সরকারের আন্তরিকতার কমতি নেই। দক্ষ জনশক্তির অভাবে স্বাস্থ্য খাতে সেবার মান  কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে না।’

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে পর্যাপ্ত জনবল ও অর্থ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সীমিত বাজেটে চলছে বিশাল আকারের স্বাস্থ্য খাত। সীমিত সম্পদ দিয়েও স্বাস্থ্য খাতের সফলতা  আজ  জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা কুড়িয়েছে। আমরা উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’

‘পর্যাপ্ত জনবল ও মজবুত অবকাঠামো বিদ্যমান থাকার পরও সরকারি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোয় সেবার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছতে পারছে না। এর কারণ খুঁজে বের করার প্রয়াস থেকেই বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় জনবল নিয়োগ ও ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থার বিষয়টি মাথায় এসেছে। পাইলট প্রকল্পের অধীনে  স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর  সেবার মানের পার্থক্য নির্ণয় করা হবে। পরবর্তী সময়ে পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতা ও বাস্তবচিত্র  দেশের প্রতিটি সরকারি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হবে। 

স্বাস্থ্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত  ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্র্রী জাহিদ মালেক  ও  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. এন পারানিথারান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ওয়াহিদ হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ডা.  সাজেদুল হাসান। 

/জেএ/এমএনএইচ/