মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডারচালিত গাড়ি যেন শক্তিশালী বোমা!

পবার উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠক

মেয়াদোত্তীর্ণ, ত্রুটিযুক্ত সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে প্রায়ই বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। নিম্নমানের কম পুরুত্ববিশিষ্ট সিলিন্ডারের ব্যবহারও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের অন্যতম কারণ। পুনঃব্যবহৃত পুরোনো অচল, মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যা শক্তিশালী বোমার সঙ্গে তুলনীয়। সিলিন্ডার বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা রোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী। আজ ১০ ডিসেম্বর ‘গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ-বিপদসংকুল জনজীবন ও পরিবেশ’ রক্ষার্থে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)-এর উদ্যোগে পবা মিলনায়তনে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি করেন বক্তারা।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, সিলিন্ডারের প্রায় ৮৮ শতাংশই মেয়াদোত্তীর্ণ। ফলে সিএনজিচালিত এ সকল যানবাহনের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যখন-তখন দুর্ঘটনা ঘটছে। মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার এতোটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে এগুলোকে ‘শক্তিশালী বোমা’র সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। ত্রুটিযুক্ত সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে প্রায়ই ঘটছে বিভিন্ন দুর্ঘটনা। দেশে গত পাঁচ বছরে ৩০০টির বেশি সিএনজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। তাই এ বিষয়ে প্রয়োজন ব্যাপক প্রচারণা।

অন্য বক্তারা বলেন, প্রতিটি গাড়ির সিলিন্ডার পুনঃপরীক্ষা, সিএনজি সিস্টেম পরীক্ষা এবং সিএনজি ফিলিং স্টেশনের বার্ষিক নিরাপত্তা জরিপ আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হলেও তা পালিত হচ্ছে না। এছাড়া সাড়ে চার লাখের বেশি সিএনজি সিলিন্ডারের বৈধতার বিষয়ে আইন অনুসরণ করা হচ্ছে না। ফলে ত্রুটিযুক্ত সিএনজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে প্রায়ই বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানি ঘটছে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, নাগরিক পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হাসান মাসুদ, পবা’র সহ-সম্পাদক স্থপতি শাহীন আজিজ প্রমুখ।

/জেএ/এএআর/আপ-এইচকে/