যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত আইনের খসড়া তৈরি হচ্ছে: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

সাজাপ্রাপ্ত ও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়া প্রস্তুতকরণে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বাংলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে বেরিয়ে যাওয়ার  সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

এর আগে প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সেই কাজটি শুরু হওয়ায় কথা আইনমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেন।

যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন আগে থেকেই মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিতদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় বিষয়টি সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী।

ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের যুদ্ধাপরাধ মামলার বিচারে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে বীরাঙ্গনাদের ক্ষতিপূরণের দাবি তোলা হয়। হবিগঞ্জের সাজাপ্রাপ্ত মানবতাবিরোধী অপরাধী কায়সারের মামলাতেও যুদ্ধশিশুর সাক্ষ্যকে ঘিরে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের কথা তোলা হয়।   

সরাসরি ক্ষতিপূরণের বা সম্পদ বাজেয়াপ্তের কথা না বলে ট্রাইব্যুনাল আইনে এ বিষয়ে কোনও নির্দেশনা না থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে আজহারের রায়ে বলেন, ‘রাষ্ট্রের উচিত আর দেরি না করে এই বীরাঙ্গনাসহ সব বীরাঙ্গনাকে যথাযথভাবে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন করা।’

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও গবেষক মফিদুল হক সন্তোষ প্রকাশ করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টি আমাদের আন্দোলনে বহুদিনের একটি বিষয়। আইনের মধ্য দিয়েই হোক। আমরা অনেক অপেক্ষা করেছি এই প্রক্রিয়াটি শুরুর জন্য।

তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা অবৈধ উপায়ে যে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করে দ্রুতই ভিকটিমদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে আইনটি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হবে এই প্রত্যাশা করি।

/ইউআই/এসটি/