ব্লগার রাজীব হত্যার আপিলের রায় যেকোনও দিন

রাজীব হায়দার

ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষ হওয়ায় যেকোনও দিন রায় ঘোষণা করা হবে।বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে গত ৭ নভেম্বর (২০১৬) এ মামলার শুনানি শুরু হয়। আহমেদ রাজীব হায়দারকে রাজধানীর পল্লবীতে তার বাসার সামনে ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কুপিয়ে হত্যা করা

এর আগে গত বছরের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ (ডেথ রেফারেন্স) এবং আসামিদের আপিল শুনানির জন্য মামলাটি  হাইকোর্ট বিভাগের উক্ত বেঞ্চের কার্যতালিকায় ওঠে ।

বিচারিক আদালতের রায়ে কোনও আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরের জন্য উচ্চ আদালতের অনুমোদন লাগে। আর এ অনুমোদনই ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির। আসামিদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুর রেজাক খান ও মো. আহসান উল্লাহ।

ওই ঘটনায় রাজীবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিনের করা মামলায় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র রেদোয়ানুল আজাদ রানা (পলাতক) ও ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ে মাকসুর হাসান অনিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এহসান রেজা রুম্মানসহ তিনজনকে দশ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয়মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

এছাড়া আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানিকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামি সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে তিন বছরের  সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও  দুই মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

এ রায়ের পর মামলার নথিপত্র ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে আসে।পরে প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলার পেপারবুক প্রস্তুতের নির্দেশ দেন।

/ইউআই  /এপিএইচ/

আরও পড়ুন: ব্লগার হত্যার প্রথম রায়ে দুজনের ফাঁসি