বাংলাদেশে ডব্লিউইএফের সভা আয়োজনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামবাংলাদেশের অর্থনীতিকে তুলে ধরতে বাংলাদেশে একটি সভা আয়োজনে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে এ ধরনের সভা আয়োজনে প্রস্তুত রয়েছি।’ মঙ্গলবার ডব্লিউইএফ-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রফেসর ক্লাউস সোয়াবের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি  এই আহ্বান জানান।

ডব্লিউইএফ-এর ৪৭তম বার্ষিক সভার সাইড লাইনে আজ ডাভোসের কংগ্রেস সেন্টারে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন,  ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠক চলাকালে বাংলাদেশে অধিক হারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানাতেও প্রফেসর ক্লাউসের প্রতি অনুরোধ জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে দেশে নানারকম সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করেছি। তাদের সেই সুযোগটা গ্রহণ করা উচিত।’

এ প্রসঙ্গে শিল্পায়নের বিকাশ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তার সরকারের উদ্যোগে দেশে একশ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে  সরকার বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দিয়েছে।’ বাংলাদেশে বিশ্ব বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ব্র্যান্ডিং করাটা খুব জরুরি বলে এ সময় প্রফেসর ক্লাউস উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে ক্লাউস বলেন, ‘বাংলাদেশের কয়েকটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন খুব বিস্ময়কর। বিশেষ করে বিশ্বমন্দার মাঝেও ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন খুব বড় বিষয়।’

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিপুল জনসংখ্যা সত্ত্বেও বাংলাদেশ তার উন্নয়ন সহযোগী এবং বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতায় ছোটখাটো বাধাবিঘ্ন পার হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এই অঞ্চলের জনগণের অধিকতর উন্নয়নে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। এজন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান,ইন্ডিয়া, নেপাল) চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে বিসিআইএম-ইসি (বাংলাদেশ, চীন, ইন্ডিয়া, মিয়ানমার-অর্থনৈতিক করিডোর) চুক্তি সম্পাদনেরও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’

ডব্লিউইএফ’র ৪৭তম বার্ষিক সভায় অংশগ্রহণে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রফেসর ক্লাউস সোয়াবকে ধন্যবাদ জানান। প্রফেসর ক্লাউস বলেন, ‘বাংলাদেশকে নিয়ে এখন অনেকেই উচ্চাশা পোষণ করেন এবং দেশটির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের অনেকেই আশাবাদী।’

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং সুইজারর‌্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘ কার্যালয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম আহসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।সূত্র: বাসস

আরও পড়ুন:  ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ কাঙ্ক্ষিত ফল বয়ে আনবে’

/এমএনএইচ/