অর্থনৈতিক উন্নয়নে পানিসম্পদ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর





প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাঅর্থনৈতিক উন্নয়নে বৃহত্তর সহযোগিতা ও আন্তঃদেশীয় বিশুদ্ধ পানিসম্পদ ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পানি হচ্ছে সম্পদ। আমাদের জন্য শহর, গ্রাম ও সারাজীবন প্রত্যেকের জন্য বেঁচে থাকার লড়াই। তাই পানির মূল্য আমাদের জানা দরকার।’বুধবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সাইড লাইনে ওয়ার্ল্ড আন্ডার ওয়াটারের ওপর এক আলোচনা তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন অথবা উৎপাদনের জন্য পানির অবাধ যোগান থাকতে পারে না। টেকসই উন্নয়নের পথে পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক বিষয়।’ তিনি বলেন, ‘অসমতা থেকে সমতায় আনতে বিশুদ্ধ পানি ও সমুদ্র সম্পদ খাতে এই সহযোগিতা ভূমিকা রাখতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর এবং বিভিন্ন উপকূলীয় ও দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের অস্তিত্ব নির্ভর করছে বিশুদ্ধ পানি ও সমুদ্র সম্পদ ব্যবহারের সক্ষমতার ওপর।’
পানিসম্পদ খাতে বেসরকারি খাতের ভূমিকা বৃদ্ধির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনও সমাধান আমাদের বিপুলসংখ্যক গরিব ও প্রান্তিক জনগণের জন্য লাভজনক ও টেকসই হবে। বাংলাদেশ বৈশ্বিক পুঁজি ও জ্ঞান প্রদানকারীদের মধ্যে যেকোনও ধরনের অংশীদারিত্বের কথা বিবেচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পানির চাহিদার ওপর যেকোনও সহযোগিতা জনগণ, রাষ্ট্র ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে হতে হবে।’ তিনি ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের নৌ-সীমানার শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথাও উল্লেখ করেন।
প্রযুক্তিকে ওয়াটার কনভারসেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি দ্রুত পরিবর্তন ও কৃষির ভার্টিকেল ট্রান্সফরমেশন বিশুদ্ধ পানির উৎস বৃদ্ধি এবং ভূগর্ভস্থ পানির চাহিদা পূরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে গঙ্গার পানিবণ্টন সমস্যা সমাধানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তঃদেশীয় চুক্তি বাস্তবায়নে আরও প্রচেষ্টা চালানো দরকার।’ সূত্র: বাসস
/এমএনএইচ/