প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন অথবা উৎপাদনের জন্য পানির অবাধ যোগান থাকতে পারে না। টেকসই উন্নয়নের পথে পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক বিষয়।’ তিনি বলেন, ‘অসমতা থেকে সমতায় আনতে বিশুদ্ধ পানি ও সমুদ্র সম্পদ খাতে এই সহযোগিতা ভূমিকা রাখতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর এবং বিভিন্ন উপকূলীয় ও দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের অস্তিত্ব নির্ভর করছে বিশুদ্ধ পানি ও সমুদ্র সম্পদ ব্যবহারের সক্ষমতার ওপর।’
পানিসম্পদ খাতে বেসরকারি খাতের ভূমিকা বৃদ্ধির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনও সমাধান আমাদের বিপুলসংখ্যক গরিব ও প্রান্তিক জনগণের জন্য লাভজনক ও টেকসই হবে। বাংলাদেশ বৈশ্বিক পুঁজি ও জ্ঞান প্রদানকারীদের মধ্যে যেকোনও ধরনের অংশীদারিত্বের কথা বিবেচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পানির চাহিদার ওপর যেকোনও সহযোগিতা জনগণ, রাষ্ট্র ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে হতে হবে।’ তিনি ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের নৌ-সীমানার শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথাও উল্লেখ করেন।
প্রযুক্তিকে ওয়াটার কনভারসেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি দ্রুত পরিবর্তন ও কৃষির ভার্টিকেল ট্রান্সফরমেশন বিশুদ্ধ পানির উৎস বৃদ্ধি এবং ভূগর্ভস্থ পানির চাহিদা পূরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে গঙ্গার পানিবণ্টন সমস্যা সমাধানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তঃদেশীয় চুক্তি বাস্তবায়নে আরও প্রচেষ্টা চালানো দরকার।’ সূত্র: বাসস
/এমএনএইচ/