বিজ্ঞাপন নির্ভরশীলতা ও টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির অস্থিরতা প্রসঙ্গে ফাহমিদুল হক বলেন, ‘একই ধরনের একাধিক চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে ‘ফিক্সড অ্যাড মার্কেটে’ ভাগ বসাতে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়বস্তুতে তার প্রভাব পড়েছে। এ পরিস্থিতিতেই দর্শক দেশের টিভি ছেড়ে ভারতের টিভির দিকে ঝুঁকেছে।’
বিদেশি সিরিয়াল দেখার মধ্য দিয়ে কেবল মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে না উল্লেখ করে এফটিপিওর আন্দোলকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সুলতান সুলেমান বা এ ধরনের সিরিয়ালের মাধ্যমে মূল্যবোধের অবক্ষয় হচ্ছে, এই যুক্তি সামনে না আনাই ভালো। তাতে অন্য আরও যে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো আছে, সেগুলো আড়ালে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়। কারণ মূল্যবোধের পরিবর্তন ধীরে ধীরে হয়েছে দর্শকের, সে খবর নির্মাতার জানা দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্মের কাছে মূল্যবোধের বোধ ভিন্ন ভিন্ন।’
ফাহমিদুল হক মনে মনে করেন, ‘টেলিভিশন কখনও সমাজ পরিবর্তন করেছে এমন উদাহরণ নেই বরং টেলিভিশন সমাজে প্রচলিত ধ্যানধারণাকে পুনরুৎপাদন করে।’ তার মতে, সম্প্রচার ইন্ডাস্ট্রির মূল সমস্যা দু’টি, একদিকে লাইসেন্সের স্বচ্ছতা নেই, অন্যদিকে বিজ্ঞাপনের কারণে কন্টেন্ট দেখা যায় না। নীতিমালায় এই দু’টি প্রধান সমস্যা নিয়ে কিছুই বলা নেই।’
মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে আরও অংশ নিয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, নাট্য ব্যক্তিত্ব ও ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি গাজী রাকায়েত, দীপ্ত টিভির প্রধান নির্বাহী উরফী আহমদ, গ্রে অ্যাডভার্টাইজ লিমিটেডের ম্যানেজিং পার্টনার ও কান্ট্রি হেড গাউসুল আজম শাওন ও সাংবাদিক উদিসা ইসলাম।
সরাসরি বৈঠকি দেখতে চোখ রাখুন চ্যানেল ৭১ এর পর্দায় এবং এ সম্পর্কিত সব সংবাদ পড়ুন www.banglatribune.com এ। এবং এ সংক্রান্ত সব নিউজ পড়তে সরাসরি বাংলা ট্রিবিউনের হোম পেইজে চোখ রাখুন। এছাড়া তথ্য পেতে নজর রাখুন বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক পেইজে।
/ইউআই//এফএএন/