সাত খুন মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে

হাইকোর্টনারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার রায়ের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছে। রবিবার এই ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছায় বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল (প্রশাসন) সাব্বির ফয়েজ।

এর আগে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৭ খুন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশুলি  এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, রবিবার এই মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি জানান, সাত খুনের দুটি মামলার রায় ১৬৩ পাতা করে। প্রতি মামলায় ১১ হাজার করে লাইন। মোট ২২ হাজার লাইন। ইংরেজিতে রায় দেওয়া হয়েছে।      

ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, ‘মামলার জুডিশিয়াল রেকর্ড, রায় ও ডকুমেন্ট হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। ডেথ রেফারেন্সে এই মামলার শুনানি হবে। আমরা আশা করবো নিম্ন আদালতের রায় হাইকোর্টেও বহাল থাকবে।’

গত ১৬ জানুয়ারি আলোচিত সাত খুন মামলার আসামি নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক উপ অধিনায়ক মেজর (অব.) আরিফ হোসেন ও সাবেক ক্যাম্প ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) এম এম রানাসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল  ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। এর ৩ দিনপর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে ছয়জনের লাশ। পরদিন আরও একজনের লাশ ভেসে ওঠে নদীতে। নজরুল ইসলাম ও চন্দন সরকার ছাড়া বাকিরা নিহতরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম। এরপর স্বজনরা লাশগুলো শনাক্ত করেন।

লাশ উদ্ধারের এক দিন পর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে  নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।  ১১ মে, একই থানায় আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। পরে  মামলা  দু’টি একসঙ্গে তদন্ত করে পুলিশ।

/ইউআই/এফএস/ 

আরও পড়ুন- ‘সাত খুনের ঘটনায় র‌্যাবের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়নি’