খেলাপি ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের উদ্বেগ

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরখেলাপি ঋণ বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা ব্যাংকিং খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এর পরিমাণ কমিয়ে আনতে না পারলে বাজেটে নির্ধারিত প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ইকোনোমিক রিপোটার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর বলেন, দেশে ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ হারে শ্রেণিকৃত ঋণ রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ আরও অনেক বেশি।

তিনি আরও বলেন, সরকার চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ৭ দশমিক ২ এবং আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৮ শতাংশ হারের যে প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে, তার বাস্তবায়ন করতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন। শ্রেণিকৃত ঋণ কমিয়ে আনতে না পারলে এ বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগান দেওয়া সম্ভব হবে না।

সাম্প্রতিক সময়ে রেমিটেন্স কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গভর্নর ফজলে কবির বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে রেমিটেন্সের প্রবাহ ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। কী কারণে রেমিটেন্স কমে যাচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিসার্চ দল একটি ডায়াগনস্টিক সার্ভে করছে। খুব শিগগিরই মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ এবং মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে দু’টি প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে। যারা রেমিটেন্স পাঠান, তারা কথা বলবেন আমাদের সঙ্গে। আমরা এমন ব্যবস্থা নিতে চাচ্ছি, যাতে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে এক টাকাও প্রবাসীরা দেশে না পাঠায়।

অনুষ্ঠানে ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, বিশ্ব মন্দার সময়ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা মজবুত ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের দক্ষ মুদ্রানীতির ফলে দেশের আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন, সবুজ অর্থায়ন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সচেষ্ট ভূমিকা পালন করছে।

ইআরএফ সদস্যদের ‘ওরিয়েন্টেশন কোর্স অন ব্যাংকিং’ শীর্ষক এ কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, সিনিয়র ইকোনমিক অ্যাডভাইজার ফয়সল আহমেদ, মহাব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমির প্রিন্সিপাল কে এম জামশেদুজ্জামান, ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান।

/জিএম/এএআর/