প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সরকারি অধিদফতরগুলোয় বাংলা চালু হলেও আদালতে সেটা বাস্তবায়ন করা পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। এজন্য আমরা খুবই দুঃখিত। অবশ্য হাইকোর্ট বিভাগের কয়েকজন বিচারক খুব সুন্দরভাবে বাংলায় রায় লিখছেন। এটা অন্যদের জন্য অনুসরণীয় হতে পারে। আপিল বিভাগেও আমরা এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। প্রযুক্তির এই যুগে যদি কোনও ডিভাইস আসে যার মাধ্যমে আদালতে ঘোষণা করা রায় বাংলায় রূপান্তর হয়ে যাবে, তাহলে অনায়াসে বাংলা ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
২১ ফেব্রুয়ারিকে শোকের দিন উল্লেখ করে এসকে সিনহা বলেন, ‘আজকের দিন আমাদের জন্য শোকের। ১৯৫২ সালের এই দিনে আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি আমাদের ভাইদের রক্তের বিনিময়ে।’
এরপর ব্যক্তিগত একটি অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারে গিয়েছিলাম। সেখানকার একজন অধ্যাপক আমাকে জানান, ঢাকা ছাড়াও বাংলা ভাষার জন্য লড়াই করে ভারতেও কয়েকজন নিহত হয়েছিলেন। তিনি সেই নামগুলো সংগ্রহ করে একটি গ্রন্থ লিখেছেন। এবারের বইমেলাতেই হয়তো সেটি প্রকাশ হতে পারে। এর ফলে বাংলা ভাষার ইতিহাস আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আমি মনে করি।’
/এআরআর/আরজে/জেএইচ/