হকারদের পুনর্বাসনে বিদেশ পাঠানোর পরিকল্পনা

স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনরাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে উচ্ছেদ করা হকারদের পুনর্বাসনে বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ।
বুধবার সংসদে সরকার দলের সদস্য ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।পরে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা করা হয়।
ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, `হকারদের পুনর্বাসনের জন্য তাদের আবেদন সাপেক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হকারদের শ্রমিক হিসেবে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ে জরিপ করে গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকায় ২ হাজার ৫০২ জন হকারের তালিকা তৈরি করা রয়েছে। তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তের আলোকে প্রথম পর্যায়ে পাইলটিং হিসেবে গুলিস্তান, মতিঝিল, দিলকুশা, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল কলেজ ও মিরপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের আশপাশের  এলাকায় হলিডে মার্কেট চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকার তালিকাভুক্ত হকারদের ছাতা ও ভ্যানগাড়ি সরবরাহ করার কাজ চলছে বলেও জানান মন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে ঢাকার জলাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন করার সময় উল্লেখ করেন,  মাত্র ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিতে রাজধানীর রাস্তা তলিয়ে যায়।

এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেই রাজধানী তলিয়ে যায়, এ কথাটি পুরোপুরি সত্য নয়। ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি ৩০ মিনিটের কম সময়ে হলে সাময়িক জলজট হতে পারে।’

জাহানারা বেগম সুরমার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে ৮৭ শতাংশ জনগণ সুপেয় পানি সুবিধার আওতাভুক্ত। বর্তমানে বাংলাদেশে ৯৯ শতাংশ জনগণ মৌলিক স্যানিটেশনের অন্তর্ভুক্ত। এরমধ্যে ৬১ শতাংশ জনগণ উন্নত ল্যাট্রিন, ২৮ শতাংশ জনগণ যৌথ ল্যাট্রিন এবং ১০ শতাংশ অনুন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহার করেন।
/ইএইচএস/এপিএইচ/

আরও পড়ুন: 

তারা শহীদ দিবসের মর্যাদা নষ্ট করে দিয়ে এলো: প্রধানমন্ত্রী