বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোগী আলাউদ্দিনের স্বজনদের সঙ্গে যারা দুর্ব্যবহার করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের ইন্টার্নশিপ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলাউদ্দিন হোসেনের স্বজনদের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দুর্ব্যবহারের ঘটনাকে দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত অভিহিত করে জড়িতদের কঠোর শাস্তির ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
প্রসঙ্গত, ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে শজিমেকের মেডিসিন বিভাগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মারধরে রোগী আলাউদ্দিন সরকারের ছেলে পাশা গুরুতর আহত হন। তার ভাই মাসুম এবং দুই বোন বীনা আর সেতুকেও লাঞ্ছিত করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এদিকে শজিমেক হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের নিরাপত্তা জোরদার করাসহ সাতদফা দাবি আদায়ে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। তবে দুপুরে তারা কর্মবিরতির কর্মসূচি স্থগিত করেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে রবিবার ও সোমবার শজিমেক হাসপাতালে সব বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী বা স্বজনদের সঙ্গে যেন কোনোভাবেই দুর্ব্যবহার না করা হয়, সেদিকে সতর্ক থাকার জন্য চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘সেবা নিতে আসা মানুষের সঙ্গে অন্যায় আচরণের অভিযোগ আসলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। হাসপাতাল হচ্ছে সেবাপ্রার্থীর আশ্রয়স্থল।’
তিনি বলেন, ‘এখানে কোনও রকমের দুর্ব্যবহার বা অসৌজন্য আচরণ কাম্য নয়।’ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোগীর সেবা কার্যক্রম ব্যাহত করে অহেতুক ধর্মঘট বা উত্তেজনা ছড়াতে পারে, এমন কোনও কর্মসূচি না দেওয়ার জন্য চিকিৎসক, নার্সসহ সকলের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
/জেএ/এপিএইচ/
আরও পড়ুন:
রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত