রাষ্ট্রপক্ষ শুনানির জন্য এক মাস সময় চাইলে আদালত ২ মার্চ পযন্ত সময় দেন বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম জাহিদ সারোয়ার কাজল।
এর আগে মামলার শুনানির জন্য তৈরি করা পেপারবুকের কিছু অসঙ্গতি তুলে ধরেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে অসঙ্গতি দূর করতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন। গত ১৯ জানুয়ারি এ মামলার আপিল শুনানি কোনও মুলতবি না দিয়ে প্রতি কার্যদিবসেই চলবে বলে জানান আদালত।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দফতরে সংঘটিত বিদ্রোহের সময় ৫৭ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে খালাসপ্রাপ্ত ২৭৭ জনের মধ্যে ৬৯ জন আসামির সাজা চেয়ে ফৌজদারি আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দায়ের করেন রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত ৪১০ জন আসামির সাজা বাতিল চেয়ে রায়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আপিল দায়ের করেন তাদের আইনজীবীরা।
দ্রুত আপিল শুনানি করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ ব্যবস্থায় সর্বমোট ৩৭ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়েছে। এজন্য মোট ১২ লাখ ৯৫ হাজার পৃষ্ঠার ৩৫ কপি ও অতিরিক্ত ২ কপি পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিডিআর হত্যা মামলায় মোট সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ৫৭৫ জন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে কারাগারে থাকা ১৩৮ জনের পক্ষে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল রাষ্ট্রপক্ষ থেকেই দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলামের মাধ্যমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১২৮ জন এবং বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৭৫ জনের পক্ষে ফৌজদারি আপিল দায়ের করা হয়। অ্যাডভোকেট শামীমের মাধ্যমে ফৌজদারি আপিল দায়ের করা হয় ২৩ জনের পক্ষে। এছাড়া পলাতক এবং মৃত আসামি বাদে বাকি ৮৪ জনের পক্ষে বিভিন্ন আইনজীবীর মাধ্যমে আপিল দায়ের করা হয়।
/এমটি/ইউআই/এফএস/
আরও পড়ুন-
এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল ডা. কাদেরের বাড়ি থেকে উদ্ধার