গ্রাম্য বিচারের নামে অমানবিক সাজা দিলে ব্যবস্থা: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকগ্রাম্য সালিশদার, মেম্বার বা চেয়ারম্যানেরা বিচারের নামে কাউকে অমানবিক সাজা দিলে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন। রবিবার সংসদের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রহিম উল্লাহর প্রশ্নের জবাবে   মন্ত্রী বলেন, ‘গ্রাম্য সালিশদার, চেয়ারম্যান বা মেম্বাররা যাতে বিচারের নামে প্রকাশ্যে কারও মাথার চুল কাটতে, কান ধরে ওঠবস করাতে, গলায় জুতার মালা পরাতে, নাকে খত দেওয়াতে, ঝাড়ু পেটা ইত্যাদি অমানবিক সাজা দিতে না পারে, সে জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য জনপ্রশাসন ও স্থানীয় মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও আইনমন্ত্রী জানান।
সরকার খন্দকার আজিজুল হক আরজুর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,    ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নতুন ৪১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল তৈরির বিষয়ে অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া গেছে। বিষয়টি এখন প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির অপেক্ষায় আছে। এটি হলে এ সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা যাবে।’
বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১৪ সাল থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩৭টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে বলেও আইনমন্ত্রী জানান।

নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, ‘২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশের জেলা আদালত থেকে ১০৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আয় হয়েছে।’

আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক বলেন, ‘দেশে মাছের চাহিদা ৪০ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন।’

স্বতন্ত্র সংসদ রহিম উল্লাহর অপর এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘মাঠ প্রশাসনে কর্মকর্তাদের অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ কোর্স, শুদ্ধাচার কৌশল, নিরীক্ষা কার্যক্রম, স্থাবর–অস্থাবর সম্পদের বিবরণ দাখিল, আয়কর রিটার্ন দাখিল ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’
বিকেল পৌনে পাঁচটায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

/ইএইচএস/ এপিএইচ/