ঢাকা-লন্ডন সংলাপ: অগ্রাধিকার পাচ্ছে ব্রেক্সিট ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ইস্যু

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যঢাকা ও লন্ডনের মধ্যে প্রথম স্ট্র্যাটেজিক আলোচনায় ব্রেক্সিট ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ইস্যুর বিষয়ে অগ্রাধিকার দেবে বাংলাদেশ। আগামী ২৮ মার্চ এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডারসেক্রেটারি স্যার সাইমন ম্যাকডোনাল্ড সংলাপে অংশ নেবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা না প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘স্ট্র্যাটেজিক সংলাপে তিনটি সেশন থাকবে। প্রথম সেশনে রাজনৈতিক, পররাষ্ট্র নীতি ও ২০৩০ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন এজেন্ডা; দ্বিতীয় সেশনে ব্রেক্সিট ও এর প্রভাব, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, বিনিয়োগ, অভিবাসন এবং তৃতীয় সেশনে নিরাপত্তা, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা, সামরিক সহযোগিতা, সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত দেড় দশক ধরে অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের। কয়েক মাস আগে ডিপি রেল নামে যুক্তরাজ্যের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পায়রা বন্দরের সঙ্গে ঢাকার রেল সংযোগ এবং বিমানবন্দর নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নতির জন্য রেড লাইন নামের একটি ব্রিটিশ কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হয়েছে।’

এছাড়া গত বছর যুক্তরাজ্যের রোলস রয়েস ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক যৌথভাবে তাদের কাছ থেকে বিমানের ইঞ্জিন কেনার প্রস্তাব দিয়েছে, যা সরকারের বিবেচনাধীন আছে, বলে জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘গত এক বছরে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার যথেষ্ঠ উন্নতি হয়েছে এবং আমরা চাই যুক্তরাজ্যে কার্গো পাঠানোর ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা আছে সেটি একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা পর যেন প্রত্যাহার করা হয়।’

জানা গেছে, বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা ভোগ করে। তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বের হয়ে গেলে বাংলাদেশ যেন এ সুবিধা পায়, যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সংলাপে আলোচনা করা হবে।

যুক্তরাজ্য সরকার বিভিন্ন সময় দাবি করেছে, সেদেশে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি অবৈধভাবে বাস করছে। তবে দেশটি কখনও তাদের তালিকা প্রকাশ করে না।

/এসএসজেড/এসএনএইচ/