দেশের বিমানবন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে যাত্রীদের উড়োজাহাজের ভাড়া ছাড়াও দিতে হবে নিরাপত্তা ও বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় যাত্রীদের কাছে থেকে নির্দিষ্ট হারে ফি আদায়ের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে টিকিট বিক্রির সময় এই ফি যাত্রীদের থেকে আদায় করবে এয়ারলাইন্সগুলো।
বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মফিজুর রহমান বলেন, ‘নিরাপত্তা ও বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি আরোপের বিষয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছি।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের জন্য নিরাপত্তা ও উন্নয়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। যাত্রী নিরাপত্তা ফি যাত্রী প্রতি সার্কভুক্ত দেশগুলোর ক্ষেত্রে ২০ ডলার, সার্কভুক্ত দেশগুলো ছাড়া অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে ১৫ ডলার নির্ধারণ করা হচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল হাসনাত মো. জিয়াউল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সারা বিশ্বে সিকিউরিটি চার্জ আরোপ করা হয়। নিরাপত্তা ব্যয় এখন অনেক বেড়ে গিয়েছে। আমাদের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যয়ও বেড়েছে। এজন্য যাত্রী প্রতি ফি নির্ধারণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এই ফি যাত্রীদের থেকে নেবে এয়ারলাইন্সগুলো। যা পরবর্তীতে তাদের মাধ্যমে সরকার পাবে। তবে ফি কত হবে তা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। যাত্রীদের ওপর চাপ পড়ে এমন কোনও চার্জ আরোপ করা হবে না। আলোচনা করে হয়ত ১০০-২৫০ টাকার মধ্যেই নির্ধারণ হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে যাত্রীপ্রতি নিরাপত্তা ফি ১০ ডলার ও বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি ১০ ডলার, ভারতে যাত্রীপ্রতি নিরাপত্তা ফি ১৫ ডলার ও বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি পাঁচ দশমিক ১৮ ডলার, যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রীপ্রতি নিরাপত্তা ফি ৫ ডলার ও বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি চার দশমিক পাঁচ ডলার, যুক্তরাজ্যের অরহামটিস ভ্যালি বিমানবন্দরে যাত্রীপ্রতি নিরাপত্তা ফি ৬ পাউন্ড আদায় করা হয়।
/সিএ/এমও/