ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বি. জে. আলী আহম্মেদ খান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের তনন্ত কমিটি গঠন করেছি। তারা কাজ শুরু করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগুন লাগার ঘটনায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রাণহানী হয়নি। আমাদের কর্মীরা, বস্তির মানুষ ও এলাকাবাসী সবাই মিলে কাজ করেছে।’
বস্তির ভেতরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করানো যায় না। পানি দিতে হয় অনেক দূর থেকে। তাতে পানির গতি কমে আসে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে বুধবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত ২টা ৫০ মিনিটে কড়াইল বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার মিজানুর রহমান। খবর পেয়ে বাহিনীর ১৮টি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। পরে আরও চারটি ইউনিট তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। চার ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই বস্তিতে অনেক মানুষ থাকার কথা জানা গেছে। তবে অনেক টিনের ঘর পুড়তে দেখা গেলেও এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর কাকরাইল বউবাজার বস্তির একাংশ থেকে ভয়াবহ আগুন লাগে। এতে ৫০০ এর বেশি পরিবারের বাড়ি ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। একই বছরের মার্চ মাসেও আরেকবার সেখানে আগুন লাগে।
/এআরআর/এআর/