মুফতি হান্নানের ফাঁসি বহাল

মুফতি হান্নান

সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মুফতি হান্নানসহ তিনজনের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এর ফলে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে কোনও আইনগত বাধা নেই। শুধু তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন।

আজ রবিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে করা মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের আবেদন খারিজ করে দেন। এর আগে গত বছর ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে রায় দিয়েছিলেন আদালত।

হান্নান ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুজন হলেন- শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার ওরফে রিপন। বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুই আসামি মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দাল আপিল না করায় তাদের দণ্ড বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজারে যান ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী। ফেরার পথে ফটকের কাছে গ্রেনেড হামলায় আনোয়ার চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন।

আনোয়ার চৌধুরী
এ ঘটনায় করা মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান, জঙ্গি শরিফ শাহেদুল ও দেলোয়ারকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখেন।

গত ৭ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির আপিল শুনানি শেষে আপিল বিভাগ খারিজ করে দিলে তারা রিভিউ আবেদন করে।

কে এই মুফতি হান্নান: মুফতি হান্নান নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় নেতা। পরিকল্পনায় ও নির্দেশে ২০০৪ সালের ২১ মে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর সিলেটে গ্রেনেড হামলা হয়। ২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাস্থলের কাছে বোমা রাখার ঘটনায় প্রথমবারের মতো এই জঙ্গির নাম সামনে আসে। ২০০১ সালে রমনা বটমূলে বোমা হামলা, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ২০০৫ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন এই মুফতি হান্নান।

 /এমটি/ইউআই/এসটি/