অববাহিকা ব্যবস্থাপনা নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত আলোচনা

বাংলাদেশ-ভারতের পতাকাদুই দেশের অভিন্ন নদীগুলোর অববাহিকা ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

সোমবার পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।

আগামী ৭ থেকে ১০ এপ্রিল দিল্লি সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র সচিব ও ভারতীয় হাইকমিশনার।

হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, আমরা অভিন্ন নদীগুলোর অববাহিকা ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করছি। বাংলাদেশের মতো ভাটির দেশ নদী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কিভাবে সর্বোচ্চ লাভবান হতে পারে, সেটা নিয়েও কথা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নদী, কানেক্টিভিটি, জ্বালানি খাত উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার সঙ্গে জড়িত এবং এ সফরে এ বিষয়ে অনেক কিছু থাকবে। বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল) আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এ বিষয়ে চারটি দেশ তাদের সহযোগিতা বাড়াবে।’

কানেক্টিভিটি বা সংযোগ প্রসঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘এটা অবশ্যই অগ্রাধিকার খাত। এখানে রেলওয়ে, হাইওয়ে, জ্বালানি খাতে সহযোগিতা আরও বাড়বে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারত কিভাবে বাংলাদেশে জ্বালানির জোগান বৃদ্ধি করতে পারে, কিভাবে আরও বিদ্যুৎ লাইনে সংযোগ দেওয়া যায় সে সব বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হবে।’

প্রসঙ্গত, গত শনিবার বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় জ্বালানি সংলাপ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের সময় জ্বালানি খাতে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা হয়।

এগুলো হলো-যশোর ও খুলনা অঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা মেটানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাইপলাইন দিয়ে রূপান্তরিত গ্যাস আমদানি, জ্বালানি খাতে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের জন্য গবেষণার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং কুতুবদিয়ায় রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল বাস্তবায়ন।

এসএসজেড/এএআর/