পর্যটক ভিসায় মানব পাচার করতো চক্রটি: র‌্যাব

17453707_1267657126653309_407037763_o

পর্যটন ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ার হয়ে মালয়েশিয়ায় মানব পাচার কার হতো। মঙ্গলবার রাতে র‌্যাবের হাতে আটক হওয়া ৯ মানব পাচারকারী এ তথ্য জানিয়েছে। ১৩ মার্চ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট থেকে পাচারের সময় উদ্ধার হওয়া সাত যাত্রীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই ৯ জনকে আাটক করা হয়।

বুধবার দুপুর ১টায় র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে র‌্যাব-৩ এর সিও তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ এসব তথ্য জানান।

আটককৃতরা হলেন, বাদশা শেখ, রিপন হোসেন, নাসির উদ্দন, মনিরুজ্জামান, সজল কুমার বাইন, নাসির উদ্দিন, আহসানুজ্জামান ও রাজীব।

র‌্যাব জানায়, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বিমানবন্দর ও বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১০০টি পাসপোর্ট, ৩২টি জাল ভিসা, ৮টি মনিটর, ৬টি সিপিইউ, ৫টি ইউপিএস, ৪টি প্রিন্টার, ৯টি কিবোর্ড, একটি স্ক্যানার, ২৫টি মোবাইল, ৬টি সিলমোহর, একটি ফটোকপি মেশিন, ২৮ হাজার ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রা রিংগিট, মালয়েশিয়ার ৪২ রিংগিট, নগদ ৯৪,৩৮৪ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, কম খরচে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে এ চক্রটি লোকজন জোগাড় করে। তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে মানব পাচার করে আসছিল। তারা পর্যটন ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ হতে লোকজন মালয়েশিয়া পাঠানো উদ্দেশে ইন্দোনেশিয়ার বিমান টিকিট ক্রয় করে। ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা থাকায় তারা সহজেই সেখানে প্রবেশ করতে পারে। পরবর্তীতে জাকার্তা থেকে বাসে করে নর্থ সুমাত্রা প্রদেশের রাজধানী মেদান নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে থেকে তাদের আরেকটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মেদান থেকে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার সেলানগড় প্রদেশে নিয়ে গিয়ে আরেকটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করে। সেখান থেকেই মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশিদের পাচার করা হতো।

এ চক্রের মূলহোত আবদুল হালিম। তিনি মালয়েশিয়ায় থাকেন। বাংলাদেশে তার ভাগনে মামুন হোসেন, বাদশা শেখ ও রিপন এই চক্রটি পরিচালনা করেন। এ চক্রের সঙ্গে দুটি দুটি ট্রাভেল এজেন্সির নাম উঠে এসেছে। এটি দুটি এজেন্সি হলো গুলশানের গোইজি এবং পল্টনের সানওয়ে। এ দুটি ট্রাভেল এজেন্সির মালিকের নামই নাসির উদ্দিন। তাদেরও আটক করা হয়েছে।

/আরজে/এসটি/