বিএমসিএইচ’র ছাত্র, শিক্ষক ও চিকিৎসকরা লিখিত অভিযোগে বলেন, বিএমসি, বিএমসিএইচ, বিডিসি, ইউএএমসি ও ইউএএমসিএইচ’র প্রতিষ্ঠাকারী সংস্থা বিএমএসআরই। আইন অনুযায়ী এটি একটি ট্রাস্টি বোর্ড মাত্র। এই ট্রাস্টি বোর্ডের দায়িত্ব ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা। কিন্তু বিএমএসআরই’র ৯ জন সদস্যের মধ্যে ৪ জন অফিস পরিচালনার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছন।
৪ পরিচালক হলেন- ইঞ্জিনিয়ার মো. সিদ্দিকুল্লাহ (কো-চেয়ারম্যান), প্রফেসর নিয়াজ আহমেদ চৌধুরী (অনারি সেক্রেটারি), বেগম শামসুন্নাহার (ট্রেজারার) ও ডা. এ এইচ এম রেজাওয়ানুল কবির (কো-অনারারি সেক্রেটারি)।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, ৪ পরিচালক ক্ষমতা অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং প্রতিষ্ঠানের স্বার্থবিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এছাড়া তাদের দুর্নীতি তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি কমিটিও গঠন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ওই পরিচালকরা তাদের কার্যক্রম থেকে তিন মাস বিরত থাকবেন। কিন্তু এরপরও তারা গভার্নিং বডির স্বাভাবিক কাজে বাধা দিচ্ছেন।
৪ পরিচালকের দুর্নীতির নথি তুলে ধরে জানানো হয়, গত ৫ বছর হাসপাতালের ফার্মেসি ভাড়াবাবদ প্রায় পাঁচ কোটি টাকার এক টাকাও ফান্ডে জমা দেননি তারা। এছাড়া গত ১০ বছরে কোনও অডিট পরিচালনা করেনি। দুটি আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন কেনাবাবদ ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল তাইমুর নেওয়াজ, হাসপাতাল পরিচালক প্রফেসর আবদুর রফ সরদার, ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর শামসুল আলম, ডা. তামজিদ আলম, ডা. সাইমুল ইসলামসহ ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা।
/আরএআর/এমএ/এসএনএইচ/