ধর্ষণও গণহত্যার আওতায় আসে: বিচারপতি মানিক

সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকগণহত্যার সংজ্ঞা অনেক বিস্তৃত। আমাদের আইনেই বলা আছে, জাতীয়, ধর্মীয় যেকোনও কারণে কোনও সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে নির্মূল করা যদি উদ্দেশ্য হয় তাহলে সেটি গণহত্যার সংজ্ঞায় পড়ে। সংজ্ঞামতে জেনোসাইডে সবসময় হত্যা হতে হবে তা নয়, ধর্ষণও গণহত্যার সংজ্ঞায় বা আওতায় পড়ে।

বাংলা ট্রিবিউনের বৈঠকিতে ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক একথা বলেন। তিনি বলেন, ২৫ মার্চ যা ঘটেছে তা যেকোনও সংজ্ঞায় গণহত্যার সামিল। আর বেলুচিস্তানের কসাই হিসেবে পরিচিত টিক্কা খানকে পাঠান হয়েছিল এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য। ইয়াহিয়া সেই পরিকল্পনা করেছিল অনেক আগেই। পাকিস্তানকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সে এই হত্যাকাণ্ড ষড়যন্ত্র করে।

সাবেক এই বিচারপতি আরও বলেন,  ন্যূনতম ত্রিশ লক্ষ কেবল নয় মাসে মারা গেছে। কিন্তু গবেষকরা বলছেন এ সংখ্যা আরও বেশি। ২৫ তারিখ কেবল ঢাকা শহরেই ১০ হাজার হত্যা করা হয়। শাহরিয়ার কবীর, মুনতাসির মামুনের গবেষণা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সংখ্যা ন্যূনতম ত্রিশ লক্ষ। আন্তর্জাতিক আদালত না জাতিসংঘের কাছে জেতে হবে প্রশ্নে, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে। সবদেশ আমাদের গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন আমাদের বিরোধিতা করেছিল সেটা বড় কারণ।

সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার উপস্থাপনায় বৈঠকিতে অংশ নিচ্ছেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক নুজহাত চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতা এ কে ফাইজুল হক রাজু, সাংসদ মেহজাবিন খালিদ এবং বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিরকার রাসেল।

/ইউআই/এফএএন/