‘আহতরা সবাই শঙ্কামুক্ত’

সিলেটে আহত

সিলেটের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা ব্যক্তিরা সবাই শঙ্কামুক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একে মাহবুবুল হক জানিয়েছেন, ‘তারা ভালো আছেন।’ তবে হাসপাতালের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, অন্যান্য সব গ্রুপের রক্ত পর্যাপ্ত থাকলেও ‘ও নেগেটিভ’ রক্তের ঘাটতি রয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে অভিযান নিয়ে সেনাবাহিনীর প্রেস ব্রিফিংয়ের স্থলের অদূরে দুদফা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দুই কর্মকর্তাসহ ছয় জন নিহত হয়েছে।

ওসমানী মেডিক্যালের পরিচালক ডা. একে মাহবুবুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হাসপাতালে যারা ভর্তি আছেন তারা বর্তমানে ভালো আছেন। বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ৪৩ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে এখন ২৮ জন চিকিৎসাধীন আছে। তাদের কারও অবস্থাই গুরুতর নয়। চিকিৎসা দেওয়ার পর ১৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

হাসপাতালের উপপরিচালক দেবপদ রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তারা প্রস্তুত আছেন। ২৫ মার্চে রাতে বিস্ফোরণের পরই হাসপাতাল পরিচালক তাদেরকে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘পরিচালক সাহেব নির্দেশ দিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতি যেন আমরা ট্যাকেল দিতে পারি। এজন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। চিকিৎসক, নার্সসহ হাসপাতালের সবাইকে সিলেটে নিজ নিজ বাসায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেন কোনও সংকটময় মুহূর্ত তৈরি হলে অল্প সময়ের মধ্যে সবাই হাসপাতালে উপস্থিত হতে পারেন।’

উপপরিচালক বলেন, শনিবার অনেক রক্তের প্রয়োজন হলে সাধারণ মানুষও এগিয়ে আসে রক্ত দিতে। কালই যাদের যাদের রক্তের প্রয়োজন ছিল তাদেরকে রক্ত দেওয়া হয়েছে। আর হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাংকেও পর্যাপ্ত রক্ত রয়েছে, তৈরি আছে অনেক ডোনার। অর্থপেডিক ও ব্লাড ব্যাংকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। দুজন পুলিশ অফিসারের এরইমধ্যে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সুরতহাল হয়েছে এবং মেডিক্যাল কলেজের মর্গে  ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে, বিস্ফোরণে নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শক চৌধুরী মোহাম্মদ কায়সারের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার বাদ জোহর নামাজ শেষে নগরীর রিকাবি বাজারস্থ পুলিশ লাইন মাঠ তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন তাদের লাশ নিজ নিজ এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

/এআরআর/এসটি/