আইপিইউ সম্মেলনের অপেক্ষায় বাংলাদেশ

ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নআগামী ১ এপ্রিল ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এর ১৩৬ তম সম্মেলন। পাঁচ দিন ব্যাপী এ সম্মেলন বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এবারের আইপিইউ সম্মেলনে অংশ নিতে এখনও পর্যন্ত ৪৮টি দেশের স্পিকার ও ৩০টি দেশের ডেপুটি স্পিকার নিবন্ধন করেছেন। এছাড়া প্রায় ১২০টি দেশের ১৩০০-রও বেশি সাংসদ ও সংসদ কর্মকর্তা অংশ নিতে পারেন এ সম্মেলনে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় সংসদের উপ-সচিব মো. আলী আশরাফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এখনও সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ পাচ্ছি। এবারের সম্মেলনে প্রায় ২০০ জন নারী সাংসদ অংশ নেবেন এবং পুরুষ সাংসদের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্মেলন সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করছি, এই সম্মেলন সফল হবে।’
আইপিইউ সম্মেলনে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একাধিক বিষয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। সূচি অনুযায়ী, আইপিইউ এর পিস অ্যান্ড ইন্টান্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্যান্ডিং কমিটি ‘সার্বভৌম রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপ প্রতিরোধে সংসদের ভূমিকা’ বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার পর তা গৃহীত হবে। পাকিস্তান ক্রমাগত আভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘হস্তক্ষেপ’ করার কারণে প্রস্তাবটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আইপিইউ এর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট, ফিন্যান্স অ্যান্ড ট্রেড স্ট্যান্ডিং কমিটি ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০’ নিয়ে আরেকটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করবে, যেখানে নারীর ক্ষমতায়নের ওপর জোর দেওয়া হবে। এই খসড়া প্রস্তাবের অনেক উপাদান বাংলাদেশে প্রায়োগিকভাবে ব্যবহার করা সম্ভব।

এছাড়া বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে অভিবাসন সমস্যা, পার্লামেন্ট ইন ডিজিটাল এরা ও যুব সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য উন্নয়ন সহ আরো অনেক বিষয়ে আলোচনা হতে পারে এবারের আইপিইউ সম্মেলনে।

বিশ্বকাপ বা অলিম্পিক আয়োজন একটি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে। তেমনই আইপিইউ সম্মেলনও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলে এর আয়োজনের সঙ্গে জড়িতদের বিশ্বাস।

/এএআর/