‘ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ’

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি-বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যাম্বাসেডর থমাস এ শ্যাননমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি-বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যাম্বাসেডর থমাস এ শ্যানন। মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা জানান। তিনি বাংলাদেশকে সহিষ্ণুতা, বহুত্ববাদ ও মডারেট দেশ হিসেবে বিশ্বের একটি মডেল হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন।

অ্যাম্বাসেডর থমাস এ শ্যানন বলেন, ‘বাংলাদেশ বিষয়, আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক এবং আমাদের অংশীদারিত্বের বিষয়- ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য মনোযোগ আকর্ষণের ব্যাপার।’

শ্যানন বলেন, ‘তুলনামূলক একটি নবীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সাড়ে চার দশকে যা অর্জন করেছে অন্যান্য দেশগুলোর সেখানে লেগেছে শত বছর।’

২০১৫ সালে ঢাকা সফর করা শ্যানন বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অংশীদার।’

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা তুলে ধরে আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে, জীবন দিয়েছে, যা তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সহিষ্ণুতার জন্য অব্যাহত লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত করছে।’

সম্প্রতি সিলেটে সন্ত্রাসী হামলায় ৬জন নিহত হওয়ায় শোক প্রকাশ করে শ্যানন বলেন, ‘এই মর্মান্তিক ঘটনা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অব্যাহত অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তা আরও জোরদার করেছে।’ তিনি জানান, সাহস ও সামর্থ্য নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একত্রে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে।

বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা করে শ্যানন বলেন, ‘বিশ্ব যদি সহিষ্ণু, বহুত্ববাদী ও মডারেট দেশ দেখতে চায় তাহলে তাদের বাংলাদেশের দিকে তাকাতে হবে। দারিদ্র্য নিরসন, স্বাস্থ্যখাতের ব্যাপক উন্নয়ন এবং নারীর জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি এবং শিক্ষার উন্নয়নের মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়েছে।’

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের সমর্থন দিয়ে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদারে ঢাকা আগ্রহী।’

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পরপরই তাকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিঠির কথা তুলে ধরে জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয় স্বার্থে এবং নিরাপদ বিশ্ব তৈরিতে প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।’

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া-বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যাম্বাসেডর উইলিয়াম ই টোড, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কয়েকজন রাষ্ট্রদূতসহ মার্কিন স্টেট, জাস্টিস, কমার্স, হোমল্যান্ড বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস।

/এএ/