আজ সাড়ম্বরে পহেলা বৈশাখ উদযাপন হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও। আয়োজন করা হয় নাচ-গানের। এদিন বৈশাখী উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে পুরো গণভবন জুড়ে। সেখানে প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের পরিবেশন করা গানের সময় তাদের সঙ্গে মঞ্চে দাঁড়িয়ে কণ্ঠ মেলান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
তবে হাই ‘সাউন্ড সিস্টেম’ থাকায় শিল্পীদের কণ্ঠের আওয়াজ ছাপিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গান সেখানে উপস্থিত শ্রোতারা শুনতে পাননি। তবে প্যান্ডেল থেকে দাঁড়িয়ে দেখা গেছে, শিল্পীদের গাওয়া প্রায় সব গানই স্বতঃস্ফূর্তভাবে মঞ্চে দাঁড়িয়ে গাইছেন শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে গান গাইতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকেও।
এ সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত গান ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি পরিবেশন করেন শিল্পী সুবীর নন্দী, লাইলী ইসলাম, শামা রহমানসহ অন্য শিল্পীরা। দেখা গেছে, শিল্পীদের গাওয়া এই গানটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে খুব উচ্চ স্বরে গেয়েছেন শেখ হাসিনাও।
এদিন সুবীর নন্দী, লাইলী ইসলাম, শামা রহমান, দিনাত জাহান মুন্নি, শবনম শিউলি, ফকির মন্ডল, সামিনা হোসেন এমাসহ প্রখ্যাত শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন গণভবনে। এ সময় বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি তুলে ধরে নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মতিয়া চৌধুরীও এসব গানে কণ্ঠ মেলান। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মতিয়া চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) সব গানই গেয়েছেন। আমিও অনেকগুলি গান গেয়েছি। তবে খানিকটা হেসে তিনি বলেন ‘আমাদের গানগুলো তেমন সুরে হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এক সময়ের ছায়ানটের ছাত্রী ছিলেন। তাই অনেক গানই উনার ঠোঁটস্থ।’
শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন সামনের প্যান্ডেলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা সবার সঙ্গে বৈশাখের আনন্দ ভাগাভাগি করে ঘরে ফেরেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ নেতাদের রবীন্দ্রনাথের ‘আনন্দলোকে মঙ্গল আলোকে’ গানটি গাওয়ার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বৈশাখ উপলক্ষে অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী খাবার মোয়া, মুড়কি, মুরালি, কদমা, জিলাপিসহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি পরিবেশন করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাহারা খাতুন, ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, আহমদ হোসেন, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবদুল মতিন খসরু, হাছান মাহমুদ, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম আমিনসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
/টিএন/আপ-এমও/