মানবতাবিরোধী অপরাধে পলাতক আসামির আত্মসমর্পণে বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালএকাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক আসামি খন্দকার গোলাম রব্বানীর (৬৩) বিরুদ্ধে দেশের দুটি দৈনিক পত্রিকায় (একটি ইংরেজি ও একটি বাংলা) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।  

এ মামলায় আট আসামির মধ্যে সাত আসামি গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। আসামিরা হলেন, ময়মনসিংহ-৭ আসনের সাংসদ এমএ হান্নান, হান্নানের ছেলে মো. রফিক সাজ্জাদ (৬২), ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ (৬৯), মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৩), মো. হরমুজ আলী (৭৩), মো. ফখরুজ্জামান (৬১) ও মো. আব্দুস সাত্তার (৬১)। চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুমসহ মোট ছয়টি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়।

২০১৫ সালের ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। ওইদিনই হান্নানকে গুলশানে তার বাড়ি থেকে এবং ছেলে রফিক সাজ্জাদকে ওই এলাকার একটি অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়। একইদিন গ্রেফতার করা হয় ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির, মিজানুর রহমান মিন্টু ও হরমুজ আলীকে। 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা গত ১১ জুলাই এই আটজনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে জমা দেন। এর ধারাবাহিকতায় পরের দিন রাষ্ট্রপক্ষ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য দুই মাস সময় চাইলে আদালত গত ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেন।

২০১৫ সালের ১৯ মে ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এ মামলা করেন। ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক পরে এজাহার গ্রহণ করে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।

/এমটি/ইউআই/এফএস/ 

আরও পড়ুন- 
সিলেটে একই পরিবারের ১২ সদস্য নিখোঁজ, হদিস মেলেনি ২ বছরেও

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক: নিয়োগ, বেতন ও পদায়ন নিয়ে ক্ষোভ