এই প্রশিক্ষণের আলোকে জনগণকে উন্নত সেবা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বের মানুষ দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়: জীবন ও ভূমি। ভূমির সঙ্গে কেবল অর্থের সম্পর্ক নয়। এর সঙ্গে পরিচয়েরও বিরাট সম্পর্ক রয়েছে।’
অনুষ্ঠানের পর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, কোনও কন্যা ১৮ বছরের আগে বিয়ে করতে পারবেন না। কোনও ছেলে ২১ বছরের আগে বিয়ে করতে পারবেন না। এটা হচ্ছে আইন। আইনে এক্সেপশন থাকে। আমরা এই পৃথিবীতে যারা বাস করি, তারা সব অবস্থা সম্পর্কে জানি না। অনেক সময় এমন এমন অবস্থা হয়, যাকে বলি এমার্জেন্সি সিচুয়েশন। এই এমার্জেন্সি সিচুয়েশন মোকাবেলা করতে একটা বিধান থাকে। সেইভাবে এই আইনেও একটা বিধান আছে। এটা রুল না। জরুরি অবস্থায় অভিভাবক ও আদালত দুইয়ের সম্মতিক্রমে একটা মেয়ে ও ছেলে বিয়ে হতে পারে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পশ্চিমা দেশে অবিবাহিত মা আছেন। আমাদের দেশে অবিবাহিত মা কোনও ধর্মেই এটা গ্রহণযোগ্য নয়। ধর্মের কথা যদি বাদও রাখি, আমাদের সমাজে এটা গ্রহণযোগ্য নয়। পিতা-মাতা ও সন্তানের একটা ভবিষ্যৎ ব্যবস্থা করতে এই প্রভিশন আছে। এই বিধান নিয়ে এত আলাপ আলোচনার কিছু নাই। যারা এটা নিয়ে করছেন, কেন করছেন জানি না। আমি আবারও বলবো, এটা নিরর্থক।’
বঙ্গবন্ধু অনেক কষ্ট করে দেশ স্বাধীন করলেও স্বপ্ন বাস্তবায়নের পূর্বেই তাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের জন্য চিরকালের কলঙ্ক। অনেকে বলেন, খুনীদের বিচারের পর এই কলঙ্ক মোচন হয়েছে। আমি বলবো, রায় কার্যকর হওয়ার পরও কলঙ্ক মোচন হয় নাই। তবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারলে যে অন্যায় তার প্রতি হয়েছে, তার প্রতি যে ঋণ, তার কিছুটা হলেও আমরা শোধ করতে পারবো।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের সংসদ বিষয়ক জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো: জহিরুল হক, নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহা-পরিদর্শক খান মো. আব্দুল মান্নান, বিপিএটিসি’র মেম্বার ডিরেক্টিং স্টাফ মো. জায়েদুল হক মোল্লা বক্তব্য রাখেন।
/এসআই/এএ/