প্রশিক্ষণ ছাড়া সেবা দেওয়া সম্ভব নয়: সাব-রেজিস্ট্রারদের প্রতি আইনমন্ত্রী





সাব-রেজিস্ট্রারদের বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে আইন ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: ফোকাস বাংলাআইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বাংলাদেশে যে নতুন দিন আসছে, সেখানে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বাড়বে। তারা উন্নত সেবা চাইবেন। প্রশিক্ষণ ছাড়া সেই সেবা দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই আমাদের মানবসম্পদ যেন পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো প্রশিক্ষণ পায় এবং সবচেয়ে ভাল সেবা দিতে পারে, সেভাবেই তাদের গড়ে তুলতে হবে।’ বুধবার বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাব-রেজিস্ট্রারদের বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। দুই মাস মেয়াদি এই প্রশিক্ষণে ২৯ জন সাব-রেজিস্ট্রার অংশ নেন।

এই প্রশিক্ষণের আলোকে জনগণকে উন্নত সেবা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বের মানুষ দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়: জীবন ও ভূমি। ভূমির সঙ্গে কেবল অর্থের সম্পর্ক নয়। এর সঙ্গে পরিচয়েরও বিরাট সম্পর্ক রয়েছে।’

অনুষ্ঠানের পর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, কোনও কন্যা ১৮ বছরের আগে বিয়ে করতে পারবেন না। কোনও ছেলে ২১ বছরের আগে বিয়ে করতে পারবেন না। এটা হচ্ছে আইন। আইনে এক্সেপশন থাকে। আমরা এই পৃথিবীতে যারা বাস করি, তারা সব অবস্থা সম্পর্কে জানি না। অনেক সময় এমন এমন অবস্থা হয়, যাকে বলি এমার্জেন্সি সিচুয়েশন। এই এমার্জেন্সি সিচুয়েশন মোকাবেলা করতে একটা বিধান থাকে। সেইভাবে এই আইনেও একটা বিধান আছে। এটা রুল না। জরুরি অবস্থায় অভিভাবক ও আদালত দুইয়ের সম্মতিক্রমে একটা মেয়ে ও ছেলে বিয়ে হতে পারে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পশ্চিমা দেশে অবিবাহিত মা  আছেন। আমাদের দেশে অবিবাহিত মা কোনও ধর্মেই এটা গ্রহণযোগ্য নয়। ধর্মের কথা যদি বাদও রাখি, আমাদের সমাজে এটা গ্রহণযোগ্য নয়। পিতা-মাতা ও সন্তানের একটা ভবিষ্যৎ ব্যবস্থা করতে এই প্রভিশন আছে। এই বিধান নিয়ে এত আলাপ আলোচনার কিছু নাই। যারা এটা নিয়ে করছেন, কেন করছেন জানি না। আমি আবারও বলবো, এটা নিরর্থক।’

বঙ্গবন্ধু অনেক কষ্ট করে দেশ স্বাধীন করলেও স্বপ্ন বাস্তবায়নের পূর্বেই তাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের জন্য চিরকালের কলঙ্ক। অনেকে বলেন, খুনীদের বিচারের পর এই কলঙ্ক মোচন হয়েছে। আমি বলবো, রায় কার্যকর হওয়ার পরও কলঙ্ক মোচন হয় নাই। তবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারলে যে অন্যায় তার প্রতি হয়েছে,  তার প্রতি যে ঋণ, তার কিছুটা হলেও আমরা শোধ করতে পারবো।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের সংসদ বিষয়ক জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো: জহিরুল হক, নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহা-পরিদর্শক খান মো. আব্দুল মান্নান, বিপিএটিসি’র মেম্বার ডিরেক্টিং স্টাফ মো. জায়েদুল হক মোল্লা বক্তব্য রাখেন।

/এসআই/এএ/