কওমির শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স স্বীকৃতি যুগের চাহিদা

মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান

কওমির শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স স্বীকৃতি যুগের চাহিদা বলে উল্লেখ করেছেন জামিয়া আরাবিয়্যা দারুল উলুম এর শিক্ষক মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান। তিনি বলেন, আগে বিয়ের সম্পর্কে কাজীর কাছে এত রকমের দলিল জমা দেওয়ার প্রয়োজন হতো না। সমাজ ও মানুষের জীবনধারা পরিবর্তিত হয়েছে, এখন কাজীর কাছে অনেক ধরনের ডক্যুমেন্ট দেওয়ার প্রয়োজন হয়।

 বাংলা ট্রিবিউন আয়োজিত ‘কওমি পাঠ্যক্রম ও যুগের চাহিদা’ শীর্ষক বৈঠকীতে পাঠ্যসূচি বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের প্রণিত বাংলা ইংরেজি, অংক, ইতিহাস পড়ানোর পাশাপাশি আরবি ও হাদিস পড়ানো হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে জাতীয় পাঠ্যক্রমের বইও অনেকে পড়ে।

এই স্বীকৃতি নিয়ে তারা কর্মক্ষেত্রে আসলে কোন কাজটি করবেন আলোচনদের এ ধরনের প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন মাস্টার্সের স্বীকৃতিটি পাওয়া গেছে। কার্যক্ষেত্রে কি হবে বা হবে না সেটা ধীরে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।

কওমি মাদ্রাসার সনদের সরকারিভাবে স্বীকৃতির ঘোষণাসহ নানা বিষয় নিয়ে আজ শনিবার (২৯ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ বৈঠকি। মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় এবারের বৈঠকিতে অংশ নেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ, জামিয়া আরাবিয়্যা দারুল উলুম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, বাংলা ট্রিবিউনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সালমান তারেক শাকিল ও বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।

প্রসঙ্গত, কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদীসের সনদকে মাস্টার্স (ইসলামিক স্টাডিজ এবং আরবি) সমমান দেওয়ার পর প্রথম পরীক্ষা হতে যাচ্ছে আগামী ১৫ মে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই অভিন্ন প্রশ্নপত্রে একসঙ্গে সব বোর্ডের আওতাধীন মাদ্রাসাগুলোতে দাওরায়ে হাদীসের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তারা কি পড়ছে এবং সেটি মাস্টার্সের সমমান হওয়া এবং পরবর্তীতে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য যথেস্ট কিনা সেসব নিয়ে বৈঠকিতে আলোচনা করা হয়।

বৈঠকিটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে টেলিভিশন চ্যানেল ৭১ এ। এ সম্পর্কিত যেকোনও সংবাদ পড়ুন www.banglatribune.com এ। বৈঠকিটি চলে বেলা ১টা পর্যন্ত।

/ইউআই/এফএএন/