বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিরিয়া ও ইরাকে জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি যারা পালিয়ে দেশে ফিরছে, তাদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত এমন কেউ দেশে ঢুকতে পেরেছে বলে কোনও তথ্য নেই। একইসঙ্গে তারা যাতে দেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।’
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, ‘দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব না হলেও দমনে সফল হয়েছে বাংলাদেশ।’
বৈঠকে আলোচনার বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রায়ই এভাবে বৈঠক করি। উভয় দেশের সম্পর্কন্নোয়নে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করি। গত এক বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি এন্টি টেররিস্ট ইউনিট বাংলাদেশে জঙ্গি দমনে কাজ করছে। জঙ্গি দমনে তাদেরও ভূমিকা রয়েছে। তাদের কাছ থেকে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করছে।’
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট টিমের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এর আগে ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিমও বাংলাদেশে এসেছিল। তাদেরও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা দিয়েছে। নিরাপত্তা ইস্যুতে কোনও প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। যেকোনও মূল্যে সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা এস. বার্নিকাট বলেন, সন্ত্রাসবাদ এখন বৈশ্বিক সমস্যা। আমরা প্রায়ই বৈঠক করি। জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় কিভাবে একসঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ কারা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছি।’
বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মার্সি এস. বার্নিকাট এবং পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হকসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
/এসআই/জেইউ/এসএমএ/