এআইএ সম্মেলনে রাজনৈতিকভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ওপর জোর দেবে বাংলাদেশ

 

AIAসৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য ‘আরব-ইসলামিক-আমেরিকান (এআইএ) শীর্ষ সম্মেলনে’ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার বিষয়ে প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশ। শুধু সামরিক শক্তি নয়, রাজনৈতিকভাবেও জঙ্গিবাদ ঠেকানোর ওপর জোর দেবে ঢাকা। সরকারের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব  সন্ত্রাসবাদের শিকার। ফলে এই উগ্রপন্থা দমনের জন্য শুধু পেশীশক্তি প্রয়োগ যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন এর মূল কারণ খুঁজে বের করা। একইসঙ্গে কী কারণে যুবসমাজ জঙ্গি কর্মকাণ্ডে ধাবিত হচ্ছে, তা শনাক্ত করে এর সমাধান করতে হবে।’

সৌদি বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এআইএ শীর্ষ সম্মেলনে’ রবিববার যোগ দেবেন। সন্ত্রাসবাদবিরোধী এ সম্মেলন মে ২১ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্পসহ সৌদি অ্যালায়েন্স নামে পরিচিত দায়েশবিরোধী জোটের সদস্যরাসহ ৫৫টি দেশ থেকে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান ও উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি অংশ নেবেন।

এআইএ সম্মেলন’ প্রসঙ্গে সরকারে একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্য নতুন অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা, সহনশীলতা ও সহাবস্থানের মূল্যবোধের প্রসার, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদার করা।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন বলে আশা করছি। সেখানে কিভাবে এ সমস্যা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে বিষয়ে প্রস্তাবনা দেবেন। বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদের শিকার ও এটি মোকাবিলায় সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। এর মধ্যে শক্তি প্রয়োগ ও  এর উৎস খুঁজে বের করে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।  

এর আগে বৃহস্পতিবার এ সফর উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী বলেছিলেন, ‘সৌদি অ্যালায়েন্স বা জোটে বাংলাদেশ সরকার অসামরিক সহযোগিতা দেবে। শুধু মক্কা বা মদিনায় হামলার আশঙ্কা থাকলে কিংবা সৌদি সরকার সহযোগিতা চাইলে বাংলাদেশ সৈন্য পাঠাবে। এর আগে গত জুনে প্রধানমন্ত্রী সৌদি সফর করেন।’

শেখ হাসিনা এআইএ সম্মেলনে যোগ দিতে  শনিবার রাতে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। মে ২৩ ঢাকায় ফিরে আসবেন তিনি।

/এমএনএইচ/