ভেজাল রোধে অসাধু উৎপাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

বিএসটিআই আয়োজিত ‘পরিমাপ পরিবহনের নিয়ন্ত্রক’ শীর্ষক আলোচনা সভাশুধু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নন, নকল ও ভেজাল প্রতিরোধে অসাধু সব ধরনের উৎপাদকদের বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা নিতে বিএসটিআই কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ‘নকল ও ভেজাল প্রতিরোধ করতে হলে, যেসব কারখানায় নকল ও ভেজাল পণ্য উৎপাদন হয়, সেখানেই প্রথমে অভিযান চালাতে হবে।’ এ লক্ষ্যে মন্ত্রী সংস্থাটিতে কর্মরতদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন।
রবিবার (২১ মে)  বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০১৭ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) আয়োজিত ‘পরিমাপ পরিবহনের নিয়ন্ত্রক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব নির্দেশনা দেন।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএসটিআই মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিশেষ অতিথি ছিলেন। বিএসটিআই মহাপরিচালক মো. সাইফুল হাসিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে পরিমাপের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন,  ‘যেকোনও পণ্য উৎপাদন কিংবা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি তৈরির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাপের কাঁচামাল ব্যবহার করা জরুরি। এর ব্যত্যয় হলে, উৎপাদিত পণ্য জননিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।’

তিনি অবকাঠামো নির্মাণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পণ্যের ওজন, যানবাহন তৈরিসহ সব ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ অনুসরণের তাগিদ দেন।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জননিরাপত্তার জন্য পরিবহন খাতে পরিমাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। তৈরি পোশাক শিল্পের পরে ওষুধ শিল্পে মান নিয়ন্ত্রণের ফলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি ওষুধ গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখলে সক্ষম হয়েছে। পরিবহন খাতে মান নিয়ন্ত্রণ করে দেশে রপ্তানিমুখী নতুন শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব।’ তিনি জনগণের সুরক্ষার জন্য মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

শিল্পমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, ‘সারাবিশ্বে জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থাশীল ব্যবসা-বাণিজ্য পরিবহন ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে। বিশেষ করে উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হলে পরিবহনের ধারণক্ষমতার সমপরিমাণ ওজন পরিবহন নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। তাহলে পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সার্বিক উন্নয়নে দেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।’

বিএসটিআই’র বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক অর্জনের কথা তুলে ধরে সংস্থাটির মহাপরিচালক বলেন, ‘বিএসটিআই’র কয়েকটি ল্যাবরেটরি, প্রোডাক্টস সার্টিফিকেশন সিস্টেম এবং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্টিফিকেশন অ্যাক্রিডিটেশন তথা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। ইতোমধ্যে বিএসটিআই ন্যাশনাল মেট্রোলজি ল্যাবরেটরির ছয়টি ল্যাব নরওয়েজিয়ান অ্যাক্রিডিটেশন এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড থেকে অ্যাক্রিডিটেশন অর্জন করেছে। বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে রপ্তানি বাণিজ্যের বাধা অপসারণে অ্যাক্রিডিটেড ল্যাবরেটরিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

/জিএম/এসএমএ/