আপন জুয়েলার্সের সোনা অবৈধ কিনা, তা আদালত নির্ধারণ করবেন: বাজুস

 

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সংবাদ সম্মেলনসম্প্রতি আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখা থেকে আড়াই শ কোটি টাকার যে সোনা জব্দ করা হয়েছে, তা অবৈধ বলছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। তবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সদস্যরা বলছেন, ‘আপন জুয়েলার্সের স্বর্ণ বৈধ বা অবৈধ কিনা সর্বোচ্চ আদালত তা নির্ধারণ করবেন।’ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সদস্যরা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা ও জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের হয়রানি না করার দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাজুসের  সভাপতি গঙ্গাচরণ মালাকার, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

তাদের দাবি-দাওয়া সংবলিত লিখিত বক্তব্য পড়েছেন সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মুখপাত্র দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির দাবি, আগামী ১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেটে স্বর্ণ আমদানির সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে। এছাড়া একটি যুগযোপযোগী ব্যবসাবান্ধব স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা  না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনও জুয়েলারি ব্যাবসায়ীকে হয়রানি করা যাবে না।

আগামী অর্থ বছরের বাজেটে তাদের এই দাবি সম্পর্কে সরকার সুস্পষ্ট ঘোষণা যদি না দেয়, তাহলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এলসির মাধ্যমে কেন স্বর্ণ আমদানি করা হয় না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাজুসের সদস্যরা জানান, এলসির মাধ্যসে স্বর্ণ আমদানি করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। সেজন্য  তাঁতি বাজারের  পোদ্দারদের কাছ থেকে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা স্বর্ণ কিনে ব্যবসা করা হয়।

এভাবে স্বর্ণ ব্যবসা বৈধ, না অবৈধ—এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ‘স্বর্ণ ব্যবসা বৈধ। যদি বৈধ না হয় তাহলে আমরা সরকারকে কিভাবে ভ্যাট দেই। এছাড়া সরকার কখনও বলেনি স্থানীয় ব্যবসায়ী বা প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয় আসা স্বর্ণ  কেনা যাবে না। আগামীতে সরকার যেভাবে নীতিমালা দেবে, আমরা সেভাবেই ব্যবসা করব।’

এ সময় জুয়েলার্স সমিতির সদস্যরা জানান, সারাদেশে ১৭ হাজার জুয়েলার্সের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আর এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মালিক শ্রমিক মিলিয়ে প্রায় ২৮ লাখ মানুষ এই স্বর্ণ শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত।  কাজেই তাদের হয়রানি করলে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে।  

/জেইউ/এআর/এমএনএইচ/