ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে শনিবার সারাদেশে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের ডাক

সুপ্রিম কোর্টের সামন থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে দেবী থেমিসের ভাস্কর্য

সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে শনিবার (২৭ মে) সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। শুক্রবার (২৬ মে) শাহবাগের এক সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

ভাস্কর্যটি প্রতিস্থাপনের দাবি জানিয়ে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘গতরাত থেকে বর্তমান সরকার আর আওয়ামী লীগ সরকার নেই; এই সরকার হেফাজতি সরকার হয়ে গেছে।’

তারা আরও বলেন, ‘সরকার দুধ-কলা দিয়ে কালসাপকে প্রশয় দিচ্ছে। আজ সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য নেই, কাল হয়ত রাজু ভাস্কর্য থাকবে না, পরশু অপরাজেয় বাংলা থাকবে না, একদিন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যও গায়েব হয়ে যাবে।’

বক্তারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের কথা বলে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। অথচ আজ তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনার বিরোধীদের হয়ে কাজ করছে।’

সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক মারুফ রসুল বলেন, ‘১৯৭১ সাল আর ২০১৭ সালের পার্থক্য হলো- একাত্তরে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম আর আজ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী একটি দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। গতকাল রাতে ওই দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে।’

সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু বলেন, ‘অনুভূতিতে আঘাত লাগার ব্যাপারটা আপেক্ষিক। ভাস্কর্য সরানোয় হেফাজতের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের ব্যথায় ব্যথিত হয়েছেন। শফি হুজুর নারীদের তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করেছিল, তাতে নারীদের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছিল। তাই আজ আমরা দাবি করছি, শফি হুজুরকে দেশ থেকে বিদায় করা হোক।’

ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে শুরু হওয়া আন্দোলন থেকে গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান বক্তারা। সমাবেশের পর গণজাগরণ মঞ্চের একটি মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

/এমএ/