ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’: সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

seaপূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’-এ পরিণত হয়েছে। এ জন্য সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৪ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

রবিবার (২৮ মে) সকাল ৬টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭০ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কি. মি.  দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কি. মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কি. মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ১৮ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী হয়ে উত্তর দিকে প্রবাহিত হতে পারে। মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে ঘূর্ণিঝড় মোরা চট্টগ্রাম উপকূল পেরিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়ার সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোরার ৬২ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা বৃদ্ধি পেয়ে ৮৮ কিলোমিটারে পৌঁছাতে পারে। সাগর উত্তাল রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৪ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে শিগগিরই নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।'

এদিকে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দফতর  ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের তালিকা থেকে ক্রম অনুসারে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘মোরা’ (MORA)। এটি থ্যাইল্যান্ডের প্রস্তাবিত নাম।

/সিএ/এসএনএইচ/