আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ৭ বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব জেলার কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ৫ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের নৌযান চলাচল চালু করা হবে।’
এদিকে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরও সামনে উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালের দিকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অধিতফরের আবহাওয়াবিদ মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আজ সোমবার দুপুর ১২ টায় (২৯ মে ) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে ও মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ৩০ মে সকাল নাগাদ চট্টগ্রাম - কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ অতিক্রমকালে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’
/সিএ/ এপিএইচ/