সংসদ নেতা উপস্থিত, কোরাম সংকটে অধিবেশনে বিলম্ব

সংসদ অধিবেশন

কোরাম সংকটের কারণে গত কয়েকদিন ধরেই নির্ধারিত সময়ের বেশ খানিকটা পরে সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে। রবিবার তার ব্যতিক্রম হয়নি। এদিন নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ১০টার পরিবর্তে ১১টায় অধিবেশন শুরু হয়েছে। তবে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ধানিত সময় সংসদ কক্ষে এসে উপস্থিত হন। ফলে অধিবেশন শুরু না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে তার আসনে আধাঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে সংসদ ভবনে পৌঁছে সরাসরি অধিবেশন কক্ষে যান। এসময় অধিবেশন কক্ষে মাত্র ১৬ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

নিয়ম অনুযায়ী, সংসদে কোরাম না থাকলে অধিবেশন শুরুর নির্ধারিত সময় পুরো সংসদ ভবনে ঘণ্টা বাজানো হয়। অধিবেশন কক্ষে কোরাম পূর্ণ হলে বেল বন্ধ হয়। রবিবার কোরামপূর্ণ হতে প্রায় আধাঘণ্টা সময় লাগে।

সংবিধানের বিধান অনুযায়ী অধিবেশন শুরু করতে হলে ৬০ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত থাকতে হয়।

রমজান উপলক্ষ্যে চলমান বাজেট অধিবেশন প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়। তবে প্রায়ই দিনই সংসদের বৈঠক শুরু হতে ১৫-৩০ মিনিট দেরি হচ্ছে।

বিগত সংসদ অধিবেশনগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছ, সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ সংসদে উপস্থিত থাকলে সংসদে উপস্থিতির হার বেশি থাকে। অধিবেশনও মোটামুটি সময় মতো শুরু হয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী সুইডেন সফরে থাকায় গত সপ্তাহের শেষ তিনদিন সংসদ অধিবেশনে ‍উপস্থিত থাকতে পারেননি। যার কারণেই এই তিনদিনইও নির্ধারিত সময়ের প্রায় আধাঘণ্টা পরে অধিবেশন শুরু হয়েছে।

সংসদের উপস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়াকে অধিবেশন কক্ষে উষ্মা প্রকাশ করতেও দেখা গেছে। ওইদিন বাজেট আলোচনায় কয়েকজন সংসদ সদস্য সময় বেশি চাইলে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘আপনারা সবাই পরে বক্তব্য দিতে চান। শনিবার সংসদে আসতে চান না। সংসদে ঠিক মতো উপস্থিতও থাকেন না।‘

সংসদ সচিবালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের ওপর আলোচনার ঘণ্টা বাড়াতে গত শনিবার সংসদের বৈঠক করার পরিকল্পনা নিয়েছিল সংসদ সচিবালয়। কিন্তু এমপিদের অনাগ্রহের কারণে তা হয়নি।

/ইএইচএস/এসটি/