ঈদে প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরইমধ্যে বাড়ি ফেরা শুরু হয়ে গেছে। রাজধানীর পরিবহন স্টেশনগুলোতে দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। তবে বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হওয়ায় অনেকেই ওই দিন বিকেলেই সড়ক ও রেলপথে বাড়ি ফেরা শুরু করেছেন। গতরাত থেকে আজ শুক্রবার সকালের মধ্যে অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষ বাড়ি ফিরে গেছেন। ফলে শুক্রবার দুপুরের দিকে রাজধানীর সড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা দেখা গেছে। শুধুমাত্র স্টেশন কেন্দ্রীক যাত্রীদের কিছুটা ভিড় দেখা গেছে।
সদরঘাট বিআইডাব্লউটিএ অফিস সূত্র জানিয়েছে, বছরের অন্যান্য সময় এ টার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে প্রায় ৮০টির মতো লঞ্চ ছেড়ে যায়। ঈদ মৌসুমে এর সংখ্যা অনেকটা বাড়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার সদরঘাট থেকে দেড় শতাধিক লঞ্চ ছেড়ে গেছে। আজ শুক্রবার এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাছাড়া যাত্রীদের ভিড় সামলাতে বিশেষ সার্ভিসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিএ নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সদরঘাট থেকে এই ঈদে দেশের ৪১টি রুটে ২০৬টি লঞ্চ চলাচল করবে। এছাড়া ডজলখানেক স্পেশাল সার্ভিসও রয়েছে। শুক্রবারও থাকছে লঞ্চের ৫টি বিশেষ সার্ভিস।
তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য যা যা দরকার সবই করা হয়েছে। সদরঘাটে ২০০ পুলিশ ও ২০০ নৌ-পুলিশ রয়েছে। এছাড়া র্যাব, আনসার, আর্মডপুলিশ, স্বেচ্ছাসেবকসহ অনেক বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। যাত্রীদের চাপ রয়েছে। কোনও লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।’
/এফএস/