এ কেমন ঈদযাত্রা!

শত কষ্ট হলে হোক, তবুও বাড়ি যেতে হবে। ঘরমুখো মানুষের সবার মনোভাবই এখন এমন। আপনবাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে ঈদে একবেলাও যদি কাটানো যায়, তাতেই আনন্দে ভরে থাকে মন। তাই ঈদ কাটাতে বাড়ি যাওয়ার পথে অন্যরকম রোমাঞ্চ কাজ করে মানুষের মধ্যে। তখন কোনও কষ্টই আর যন্ত্রণা মনে হয় না। সব যেন হাসিমুখে বরণ করে নেওয়া যায় নিমিষে।

প্রতিটি বগির আসন আর অভ্যন্তরে তো বটেই, ছাদেও ঘরমুখো মানুষের ভিড়। ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে না উঠতে কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন কর্তৃপক্ষ থেকেও মাইকে সতর্কবাণী দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত। কিন্তু কে শোনে কার কথা! যেভাবেই হোক বাড়ি যেতে হবে। এজন্য বগির ভেতরের চেয়ে বাইরেই মনে হচ্ছে যাত্রীসংখ্যা বেশি।

ছাদে হোক আর যেভাবে হোক, চড়ে বসতে পারলেই যেন হলো। তখন থেকেই যাত্রীদের চোখে-মুখে ফুটে উঠতে শুরু করে ঘরে ফেরার আনন্দ। বিশাল ঝুঁকি নিলেও ছাদে উঠতে পারায় সবার মুখে ছড়িয়ে পড়লো হাসি।

ঢাকার অসংখ্য মানুষ একসঙ্গে ছোটেন বলেই ঈদ যাত্রা হয়ে ওঠে ঝক্কি আর যন্ত্রণার। তাতে কি! তবুও তো বাড়ি যেতে হবেই! ছবিতে দেখে নিন ভয়ঙ্কর ঈদ যাত্রার কিছু মুহূর্ত। 

 

প্রত্যক্ষদর্শী কারও কারও মুখে শোনা গেলো, ‘এভাবে কেউ ট্রেনে ওঠে?’

 

নারীরা যেভাবে ট্রেনের ছাদে উঠলেন, তাতে ছোটবড় যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। কিন্তু ঈদ উদযাপনের জন্য বাড়ি যেতে অতসব ভাবলে কি আর চলে!

স্টেশনে ট্রেন থামলেই হুড়মুড় করে যেভাবে পারা যায় ওঠার জন্য যারপরনাই চেষ্টা করছেন সবাই। বগির ভেতরে তিল ধারণের জায়গা না দেখে ছাদ বেছে নিতে হচ্ছে তাদের।

ঈদের আগে প্রতিদিনই প্রায় ২২ হাজারের মতো যাত্রী চলাচলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। তবে যাত্রীর সংখ্যা এর চেয়েও অনেক বেশি। টিকিট কিনতে পারেননি যারা, ছাদে উঠে বসা ছাড়া তাদের আর উপায়ই বা কী!

বাসেও ছাদে বসে আপনজনের কাছে যেতে রওনা দিচ্ছেন অনেকে। রাজধানীর গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালে এ দৃশ্য চোখে পড়েছে।




রোদ মাথায় নিয়ে হলেও বাড়িতে আপনজনের সান্নিধ্য পেলে সব কষ্ট যেন মিলিয়ে যায় হাওয়ায়।

১০সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের সামনের দিকে ভিড় থাকায় অনেকে পেছন দিক দিয়ে নদীপথে নৌকায় চড়ে ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে উঠছেন।


লঞ্চে কেবিন বা আসনের টিকিট যাদের নেই, তাদের অনেকে ছাদে বিছানা পেতে বসে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন।

ছবি: বাংলা ট্রিবিউন

 /জেএইচ/