কফির চুমুকে মুখর ঈদ আড্ডা

নতুন প্রজন্মের আড্ডাস্থল হয়ে উঠে কফি শপগুলো (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)রাজধানীতে বেড়ানোর জায়গা সীমিত। তাই উৎসব-পার্বণে নতুন প্রজন্মের অনেকটা সময় কাটে রেস্টুরেন্ট, ফুড কোর্ট আর কফি শপে। এসব স্থানেই আড্ডায় মেতে ওঠে তরুণ-তরুণীরা। অন্যান্য বয়সের লোকজনকেও অবশ্য দেখা যায় একসঙ্গে খাওয়া-আড্ডায় ডুবে থাকতে।

এক দশক আগেও ঢাকা শহরে রেস্টুরেন্টের বাইরে আলাদা করে ছিল না কোনও কফি শপ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভিজাত এলাকার পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে এ ধরনের দোকান। ঈদে মানুষের ভিড়ে কফি শপগুলোর ভেতর তো বটেই, সামনের প্রাঙ্গণও মুখরিত থাকতে দেখা যায়। এসব স্থানে কফির স্বাদের সঙ্গে বন্ধুবান্ধব কিংবা স্বজনদের নিয়ে আড্ডার আনন্দে মেতে ওঠেন সবাই।

গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা, উত্তরার পাশাপাশি মোহাম্মদপুর এবং মিরপুরেও গড়ে উঠেছে অনেক কফি শপ। রাজধানীর ২৭ নম্বর সড়কে আছে বেশকিছু কফি শপ। মঙ্গলবার (২৭ জুন) ঈদের পরদিন সেখানে দেখা গেলো মানুষের ভিড়। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা মেতেছিল আড্ডায়। কফি শপে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় অনেককেই কফি হাতে বাইরেই বসে কিংবা দাঁড়িয়ে চুমুক দিয়েছেন, জমিয়েছেন আড্ডা।

নতুন প্রজন্মের আড্ডাস্থল হয়ে উঠে কফি শপগুলো (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)চার বন্ধু নাফিজ, আদনান, আজম ও মনজিলকে নিয়ে কফি শপের সামনের ফুটপাতে আড্ডা দিচ্ছিলেন নাফিজ। কথা হলো তাদের সঙ্গে। আদনান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বন্ধুরা একসঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছি। কফি শপে বসবো ভেবেছিলাম, কিন্তু ভেতরে জায়গা নেই। তাই ভেতর থেকে কফি নিয়ে এসে এখানেই আড্ডা দিচ্ছি।’

সবার হাতে হাতে কফির থাকায় ফুটপাতেও পাওয়া যাচ্ছিল কফির ঘ্রাণ। কফির কাপ হাতে একদল তরুণীকে সেলফিও তুলতে দেখা গেছে। তাদেরই একজন নাজনীন। তার সঙ্গে ছিলেন খালাতো ভাই আসাদ ও মামাতো ভাই অভি। আসাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সারাদিন ঘোরাঘুরি শেষে বাসায় ফিরছি, পথে কফি শপে একটু সময় কাটিয়ে যাচ্ছি। ভালোই লাগছে। ভেতরে অনেক ভিড়, তাই বাইরে আড্ডা দিচ্ছি।’

নতুন প্রজন্মের আড্ডাস্থল হয়ে উঠে কফি শপগুলো (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)কফিপ্রেমীদের আড্ডা চোখে পড়ে গুলশান অ্যাভিনিউতেও। এখানে রয়েছে বেশকিছু কফি শপ। ইতালিয়ান লাভাৎজা ব্র্যান্ডের কফি বিন দিয়ে তৈরি কফি পাওয়া যায় এসব স্থানে। লাটে, মোকা, ক্যাপাচিনোসহ আরও নানান স্বাদের কফি মিলছে কফি শপগুলোতে। বেশিরভাগ দোকানেই ৩০ থেকে ৪০ জন বসতে পারে। কিন্তু ঈদের সময় এর দ্বিগুণ লোকজনের সমাগম ঘটে। ফলে কফি শপের ভেতরে বসার আরামদায়ক ব্যবস্থা থাকলেও জায়গা না থাকায় বাইরেও জমেছে আড্ডা। পরিবার নিয়ে কেউ কেউ রাস্তায় গাড়িতে বসেও কফিতে চুমুক দিতে দিতে গল্প করেন।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

/সিএ/জেএইচ/