রাজধানী গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জাকির হোসেন শাওনের মায়ের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে গুলশান। শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে শাওনের মা পৌঁছান গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের মাথায়। তবে শাওনের মা’কে কর্তব্যরত পুলিশ হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এদিকে, হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে গুলশানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে সকাল থেকেই উপস্থিত হচ্ছে স্বজনরা। এক বছর আগে জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রেস্টুরেন্টটি খুলে দেওয়া হয়। তবে শাওনের মা’কে কর্তব্যরত পুলিশ রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শাওনের মায়ের একটাই চাওয়া ছেলে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার, আর শাওনের বাবার অভিযোগ, চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে তার সন্তান। এসময় নিহত শাওনের বোনও উপস্থিত ছিল।
প্রসঙ্গত, গুলশানে অপারেশন থান্ডার বোল্ট অভিযানের সময় সন্দেহভাজন হিসেবে শাওনকে আটক করেছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গুলশান থানা পুলিশের কড়া পাহারায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার তিনদিন পর মৃত্যু হয় তার। শাওন ওই রেস্টুরেন্টে বাবুর্চির সহকারী হিসাবে কাজ করলে পুলিশ প্রথমে তাকে জেএমবির সদস্য বলে জানিয়েছিলো। পরে তদন্তে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না মেলায় তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তবে নিহত শাওনের বাবা আব্দুস সাত্তার অভিযোগ করে বলেছেন, ‘চিকিৎসার অভাবেই মারা গেছে আমার শাওন। পুলিশ তাকে জঙ্গি সন্দেহ করে হাতে-পায়ে ডান্ডাবেড়ি লাগিয়ে চিকিৎসা জন্য বড় ইউনিটি (ইউনাইটেড) হাসপাতালে ভর্তি করায়। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকবার পর শাওন মারা যায়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত চিহ্ন ছিলো।’
আরও পড়ুন: শাওনের পরিবার দিন কাটাচ্ছে অর্থ কষ্টে
/ইউআই/এআরআর/এমও/