বাজেট বাস্তবায়নে অর্থমন্ত্রীর যত পরিকল্পনা

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতনতুন অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের বাজেট যখন সংশোধন করা হবে, তার আগে বিষয়টি নিয়ে সংসদে আলোচনা করা হবে। অভিমত নেওয়া হবে সংসদ সদস্যদের।’

শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থনীতি বিটের কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে একান্তে আলোচনাকালে আগামী বাজেট বাস্তবায়ন বিষয়ে এসব পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যদি পরিকল্পনাটি করা হয়, তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি রেকর্ড হয়ে থাকবে। এর আগে কখনওই জাতীয় বাজেট সংশোধনের বিষয়টি সংসদে আলোচনা করে চূড়ান্ত করেননি দেশের কোনও অর্থমন্ত্রী।’

একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘ভ্যাট আইন কার্যকর না হওয়ায় জাতীয় বাজেট ঘোষণায় খাত ভিত্তিক বরাদ্দের পরিমাণ পরিবর্তন করা হবে। কেননা বাজেটে যে খাতে যত বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়েছিলো; সেসব খাতে সেই পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ ভ্যাট আইন কার্যকর না হওয়ায় সরকারের রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থাকবে।’ 

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের অনীহা কারণেই ভ্যাট আইন কার্যকর করা যায়নি। তারা চায়নি সরকারের রাজস্ব আদায় ও ভ্যাটের বিষয়টি একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আসুক।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পোশাক খাতের উৎসে কর এবং তামাক খাতের করহারসহ মোট চারটি খাতের করহার পুনঃবিন্যাস করে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

এ সময় অর্থমন্ত্রী এ দু’টি খাতের নাম উল্লেখ করলেও বাকি দু’টি খাতের নাম উল্লেখ করেননি।

অর্থমন্ত্রী জানান, দেশের ২৯ হাজার ব্যবসায়ী রিটার্ন দখিল করলেও করপোরেট কর পরিশোধ করেন মাত্র আড়াই হাজার। বাকিরা নানা অজুহাতে করপোরেট ট্যাক্সের আওতায় পড়েন না বলে এড়িয়ে যান। এ বছর এ বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হবে। যেন করপোরেট ট্যাক্স পরিশোধকারী ব্যবসায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই সঞ্চয়পত্রের সুদহারের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। কেননা, সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ শতাংশ আর ব্যাংক আমানতের সুদহার সাত শতাংশ। এত বড় ব্যবধান থাকা ঠিক নয়। তবে বিষয়টি সংসদে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে। যেন প্রকৃত ব্যক্তিরা এ সবিধা পান, সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই এটি করা হবে।

/এসআই/এসএমএ/