আশরাফ শামীম বলেন, ‘এ আইনটি ১৯৯৯ সালের । আইনে অঙ্গ -প্রত্যঙ্গ বলতে কিডনি, হৃদপিণ্ড, চোখ, ফুসফুস, টিস্যু, যকৃত, অন্ত্র, অস্থি ও অস্থিমজ্জাকে বোঝাবে। একজন ব্যক্তি নিকটাত্মীয় একজনকে অঙ্গ দান করতে পারবেন। নিকটাত্মীয় বলতে, পিতা-মাতা, ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী, রক্তের সম্পর্কিত চাচা-চাচি, মামা-মামি, নাতি-নাতনি, মাতাতো, খালাতো, চাচাতো, ফুফাতো ভাই-বোনদের বোঝাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে হাসপাতাল এ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন করতে পারবে, সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সরকারের অনুমোদন নিতে হবে। তবে সরকারি হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট ইউনিট যদি এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন করে তবে অনুমতি লাগবে না। এটা আইনে পরিণত হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন করতে হবে।’
সচিব বলেন, ‘জীবিত ব্যক্তির জীবনধারণে কোনও ধরনের সমস্যা না হলে তিনি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করতে পারবেন। তবে চোখ ও বোনমেরুর ক্ষেত্রে নিকটাত্মীয় হওয়ার দরকার নেই। এক্ষেত্রে যেকেউ স্বেচ্ছায় অঙ্গ দান করতে পারবেন। মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে আইনানুগ উত্তরাধিকারীর লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে অঙ্গ নেওয়া যাবে। মৃত ব্যক্তির ঘোষণার জন্য একটি কমিটি থাকবে, কমিটিতে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের একজন মেডিসিন, একজন নিউরোলজিস্ট, একজন অ্যানেসথেসিয়া বিষয়ক অধ্যাপক থাকবেন। এই কমিটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করবেন।’
এছাড়া ১১ সদস্যের ক্যাটবেরিক জাতীয় কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটির চেয়ারম্যান হবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
নিকটাত্মীয় শনাক্ত করার ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দিলে, ভুল তথ্য দিলে এবং ভয়ভীতি দেখালে দুই বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এছাড়া এ আইনের অন্য কোনও বিধান লঙ্ঘন করতে বা লঙ্ঘনে সহায়তা করলে তিন বছরের জেল, ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। তবে কোনও চিকিৎসক অপরাধী প্রমাণিত হলে তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে। আগে এ আইন লঙ্ঘনকারীদের সর্বোচ্চ সাত বছর ও সর্বনিম্ন তিন বছরের কারাদণ্ড এবং তিন লাখ জরিমানার বিধান ছিল।
কেন এ আইনের প্রয়োজন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা সেবার উৎকর্ষ সাধনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিদ্যমান চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নে এ আইন করা হয়েছে।
/এসআই/এসএনএইচ/ এপিএইচ/