ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি করতো তারা: পুলিশ

গ্রেফতার হওয়া ১২ ডিবি সদস্যরাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া ১২ জন ভুয়া ডিবি সদস্যের পরিচয়ে ডাকাতি করতো। আটককৃতরা প্রাথমিকভাবে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন।

সোমবার রাতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পূর্ব টিম ওই ১২ জনকে আটক করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো,বাকের মিয়া, গাফফার আহমেদ, মনির হোসেন, রাসেল ওরফে বর্ষ, আল আমিন দিপু, মোর্শেদ মিন্টু, সবুজ হোসেন শ্যামল, রনি, রিয়াজ, মেহেদি হাসান, গাড়িচালক নাজমুল হাসান এরশাদ এবং আরমান হোসেন। তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, দুটি ম্যাগাজিন, প্লাস্টিকের ওয়াকিবকি, লাঠি,গামছা, স্কচ টেপ, দুটি হ্যান্ডকাফ, একটি মাইক্রোবাস এবং ডিবি লেখা জ্যাকেট।

ডিবির যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন,তারা প্রাথমিকভবে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। তারা দুই থেকে তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে অনেক সময় ব্যাংকের কাছাকাছি অবস্থান করে। তাদের কেউ ব্যাংকের ভেতরে,কেউ বাইরে, কেউ গাড়িতে অবস্থান করে। ব্যাংক থেকে কেউ মোটা অংকের টাকা তুলে বের হলেই ভেতর থেকে বাইরের গ্রুপকে জানায়। এরপর বাইরের গ্রুপ তাকে অনুসরণ করে। টার্গেট ব্যক্তি রিকশা বা অন্য কোনও গাড়িতে উঠলে তাকে অনুসরণ করে গাড়ি নিয়ে পিছু নেয়। সুবিধামতো জায়গায় গিয়ে গাড়ির গতিরোধ করে ডিবি পরিচয় দিয়ে জোর করে গাড়িতে তুলে। এরপর মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে হাত-পা বেঁধে গাড়িতে করে রাজধানীতে ঘোরায়। তার কাছ থেকে সব টাকা নিয়ে পরে কোথাও ফেলে দেয়।

তিনি আরও বলেন,৬ জুলাই মনির হোসন ও মহিউদ্দিন রাজধানীর ধোলাইপাড়ের ব্র্যাক ব্যাংক শাখা থেকে ৪ লাখ টাকা উত্তোলন করে রিকশা করে যাচ্ছিল। সায়েদাবাদ পৌঁছালে তাদের রিকশা গতিরোধ করে মাইক্রোবাসে তোলা হয়। তাদের কাছে থাকা ৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় চক্রটি। এরপর তাদের সাইনবোর্ড এলাকায় নামিয়ে দেয়। গ্রেফতারকৃত বাকের মিয়া ওই ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার স্ত্রীর কাছ থেকে ওই টাকার কিছু উদ্ধার করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

/এআরআর/এসটি/